
অভাবের কারনে মেয়েকে- মা হালিমা খাতুন তার ৭ বছরের মেয়ে তাসলিমা আক্তারকে ফেলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন এ মা। ২৮ মে দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায়।



স্থানীয় সাংবাদিক মোতাব্বির হোসেন কাজল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক নারীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র হতে জানা গেছে তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদের স্ত্রী।
স্থানীয়দেরকে হালিমা খাতুন জানান, তিনি সিলেট থেকে এসেছেন। যাবেন গ্রামের বাড়ি। তার স্বামী বহু আগে মা’রা যান। এরপর এক ছেলে ও এ কন্যাকে নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন। ছেলেকে ঢাকায় একটি বাসায় দিয়েছেন। এ কঠিন সময়ে কন্যা তাসলিমাকে নিয়ে সমস্যায় আছেন।



মেয়েকে কেন ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে চাইছিলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, ভালো পরিবার ফেলে যাওয়া মেয়েকে দত্তক দিয়ে যাবেন। অভাবের সংসারে তিনি মেয়েকে ভরণ পোষণ করাতে সমস্যা হচ্ছে।
দুপুর ২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হালিমা ও তার শিশু কন্যা তাসলিমা নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করছিল। স্থানীয়রা তার অভিভাবককে খবর দিয়েছেন। অভিভাবকরা নতুন ব্রিজ আসছেন।



ডাক্তারের কথা না শুনে ক্লিনিক থেকে বাড়ি যাওয়ার পরদিনই মৃ’ত্যু
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ (৫৫) নামে এক জুটমিল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের বয়রাবাড়ি গ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে দাফন করা হয়। মৃত আবুল কালাম আজাদ বয়রাবাড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ও চট্টগ্রামের আমিন জুটমিলের শ্রমিক ছিলেন।



স্থানীয়রা জানায়, ২৪ মে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন আবুল কালাম। গতকাল বুধবার (২৭ মে) সিরাজগঞ্জের মেডিএইড ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসর্গ দেখে তাকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে চলে আসেন আবুল কালাম। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়েছে।