অ’সুস্থ্য কর্মীকে দেখতে বাংলাদেশে ছুটে আসলেন সৌ’দি ব্যবসায়ী !

1369

বাংলাদেশে ছুটে আসলেন সৌ’দি ব্যবসায়ী- ধর্ম-বর্ণ, ভাষা-সংস্কৃতিসহ নানা সং’স্কার ও ভেদাভেদ ভুলে শুধু প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন অনেক বিদেশি তরুন-তরুনী। এমন অনেক ঘটনা আমরা শুনেছি-দেখেছি। কিন্তু এইবার ঘটলো এক ব্যতিক্রম কাহিনী।

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৪নং লক্ষীপূরের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামে সৌ’দি আ’র’বের এক কর্মীর মায়ায় সৌ’দির নাগরিক (কর্মীর মালিক) বাংলাদেশে চলে এসেছে তাকে দেখতে।

লোকমুখে জানা যায়, নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের সুদির শীল দীর্ঘ ১৫ বছর ঐ মালিকের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলো। তারপর প্রায় ৮-১০ বছর আগে সৌ’দি আ’র’ব থেকে বাংলাদেশে চলে আসে অ’সু’স্থ’তা কারনে। তারপর থেকে আর বিদেশ যাওয়া হয়নি সুদির শীলের।

তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সে প্রতিষ্ঠানের মালিক পুরাতন কর্মীর মায়ায় বাংলাদেশে চলে এসেছে সে কর্মীকে দেখতে। গত ২৮ আগষ্ট তিনি বাংলাদেশে আসেন, তারপর ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি ওই কর্মীর বাড়িতে এসে পৌছেন। এর মধ্যেই এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে।

যাত্রী উদ্ধারে প্রশংসা কুড়ানো ওসি মেহেদী হাসান পেলেন পিপিএম পদক

মো. মেহেদী হাসান শরিয়তপুরের ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) । গত বছরের নভেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি খাদে পড়ে ডুবে যাওয়া বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে। সেবা, সা’হ’সি’কতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সেই ওসিকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পিপিএম (সেবা) পদক প্রদান করা হয়েছে।

গত রবিবার পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পিপিএম ব্যাচ পরিয়ে দেন। তার পিপিএম পদক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম।

দু’র্ঘ’ট’না’র দিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে ডামুড্যা-শরীয়তপুর সড়কের খেজুরতলা এলাকায় অন্তত ৩০ জন যাত্রী নিয়ে বাস খাদে পড়ে যায়। দ’ম’ক’ল বা’হি’নী আসার অপেক্ষা না করে নিজেই সেই খাদের পানিতে ডুব দিয়ে গাড়ির ভেতর আ’ট’কা পড়া ছয় নারীসহ অন্তত পক্ষে ১৫ জন যাত্রীকে উ’দ্ধা’র করেন ওসি মেহেদী হাসান।

পদক প্রাপ্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে ওসি মেহিদী হাসান বলেন, ‘ওটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল। দু’র্ঘ’টা’না’ক’ব’লি’ত মানুষকে বাঁ’চা’তে এগিয়ে আসাই পুলিশের কাজ। সে দিন এই বিশ্বাস থেকেই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আজ সেই কারণেই আমাকে পিপিএম পদকে ভূষিত করা হলো।’

যতদিন পুলিশ বিভাগে থাকবেন এভাবেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ওসি মেহেদী হাসান। এ বিষয়ে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি মেহেদী হাসানের পিপিএম (সেবা) পদকপ্রাপ্তিতে শরীয়তপুরবাসী উচ্ছ্বসিত। বিষয়টি জেলা পুলিশ বিভাগের জন্য গর্বের বিষয়।’

জানা গেছে, ওসি মেহেদী হাসানের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার বেজপাড়া মেইনরোড গ্রামে। ১৯৯৬ সালে ১ জানুয়ারি সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রথম পিরোজপুর মটবাড়িয়া থানায় যোগদান করেন তিনি। পরে ১৯৯৮ সালে ডিএমপিতে, ২০১০ সালে পদোন্নতি পেয়ে ওসি (তদন্ত) পদে মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান থানা, ২০১৩ দিনাজপুর খানসামা থানা এবং ২০১৫ মাদারীপুরের রাজৈর থানায় যোগদান করেন।

২০১৬ সালের ৮ আগস্ট পদোন্নতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানায় যোগদান করেন। ২০১৯ সাল থেকে ডামুড্যা থানায় ওসি পদে কর্মরত আছেন মেহেদী হানসান। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরের ওই সড়ক দু’র্ঘ’ট’না’য় জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে অন্তত ১০-১৫ জনকে পানির নিচ থেকে উ’দ্ধা’র করেন ওসি মেহেদী হাসান।

এ বিষয়ে ‘এমন উদাহরণ দেখিয়ে ফেসবুকে ভা’ই’রা’ল ওসি মেহেদী হাসান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঘটনার বিবৃতি দিয়ে সেদিন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ডামুড্যা উপজেলা শাখার সহসভাপতি মোহাম্মদ নান্নু মৃধা বলেছিলেন, গাড়িটি খাদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ওসি মেহেদী হাসান দ্রুত লাফিয়ে পড়েন পানিতে।

তিনি প্রথমে গাড়ির জানালার গ্লাসগুলো ভে’ঙে দেন। যাতে করে ভেতরে আ’ট’কেপড়া যাত্রীরা সহজে বের হতে পারে। পানির নিচে গাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনেন অনেক যাত্রীকে। তার সা’হ’সী পদক্ষেপের কারণে র’ক্ষা পায় বহু প্রাণ। তার এ বীরত্বের জন্য উপস্থিত হাজারও মানুষ তাকে এবং পুলিশ প্র’শা’স’ন’কে ধন্যবাদ জানান।