
সেতুর অভাবে পানিতে ভিজে যেতে হয় কবরস্থানে- কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার গর্জয় ছড়ার উপর একটি সেতুর অভাবে দু’র্ভো’গ পোহাচ্ছেন শিয়া পাড়ার শত শত মানুষ। সেতুর দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘ দিন ধরে সোচ্চার হলে সমাধান মিলছে না। ওই গ্রামে কেউ মা”রা গেলে ফুটে ওঠে দুর্ভোগের চিত্র।



পানি মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে লা”শ নিয়ে যেতে হয় ক’ব’র’স্থানে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার এই চরম দু’র্ভো’গে’র মুখোমুখি হতে হয় এলাকার মানুষকে। জানা গেছে, শনিবার গর্জনিয়া বাইশারী ইউনিয়নের হরিণ খাইয়া গ্রামের বীর মুক্তিযো’দ্ধা মোজাফফর আহমদ প্রকাশ মুজারু (৭৮) মৃ”ত্যু’বরণ করেন।
সেই বীর মুক্তিযো’দ্ধা’র লা”শ শনিবার বিকালে শিয়াপাড়া জামে মসজিদ ক’ব’র’স্থানে দা’ফ’ন করার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় করুন পরিণতির সৃষ্টি হয়। গর্জনিয়ার শিয়াপাড়ার মানুষকে মুখোমুখি হতে হয় অ”মানবিক ও করুণ বাস্তবতার।



শুধু তাই নয়, জানাজায় অংশ নিতে কেউ বাঁশের তৈরি ঝুঁ’কি’পূর্ণ সাঁকো দিয়ে। আবার কেউ গলা পর্যন্ত পানিতে ভিজে ক’ব’র’স্থানে যান। এলাকার মুরব্বি আবুল কালাম জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ গুলো দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেকবার এই স্থান পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে এলাকা ত্যা’গ করেন। কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি।



গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে এই ভো’গা’ন্তির কথা অনেকবার বলেছি। কিন্তু তারা কেউ কথা শুনেননি। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলে কল দেয়ার পরও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
খোলা দোকানের আচার ও ঝালমুড়ি খেয়ে ১৫ ছাত্রী হাসপাতালে!
স্কুল চত্বরে আচার বিক্রেতার আচার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী। আচার খেয়ে বমি ও পেট ব্যাথায় কাতর ১১ শিক্ষার্থীকে নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকালে উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের বাইরে আচার বিক্রেতা ও ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফা রানী জানান, ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাকে অফিস কক্ষে এনে মাথায় পানি দেয়ার পরেও সুস্থ না হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর একই ভাবে অসুস্থ হলে ১২ জনকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিদ্যালয়টি পাইলট প্রকল্পের অধীন। এ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে।



শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে আসার পর অ্যাসেম্বলি শেষ করে ক্লাসে গেলে প্রথমে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিম অসুস্থ হয়।
এর পরপরই সপ্তম শ্রেণির শিমু, সায়মা, মিম, অষ্টম শ্রেণির লুবনা, মাসুম বিল্লাহ, ববিতা, বিলকিছ, জোবায়ের, পঞ্চম শ্রেণির হানিফ, চতুর্থ শ্রেণির ফাহাদ, ষষ্ঠ শ্রেণির রুবাইয়া, দ্বিতীয় শ্রেণির আঁখিসহ ১৫ জন অসুস্থ হয়।
এদের অনেকে স্কুলের কাছে খোলা দোকানে আচার ও ঝালমুড়ি খেয়েছিল। এ কারণে অসুস্থ হয়েছে বলেও অনেকের ধারণা। পরে আচার ও ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।



নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবীর জানান, ওই আচার ও ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. আবুবক্কর সিদ্দিক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, মাস সাইকোজেনিক ইলনেস কিংবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে পারে।
আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। অবস্থা গুরুতর হলে তাদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৫-২০জন শিক্ষার্থী আচার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনেছি। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হয়েছে।