এশার নামাজ কি রাত ১২টার পর পড়া যাবে?

1454

এশার নামাজের ওয়াক্ত রাত ১২ টা পর্যন্ত, এ কথা অনেকেই বলে থাকেন। আসলে কি তাই? রাতের ভেতর চারটি প্রহর থাকে, চার ঘণ্টা করে ধরে নেওয়া যায়। প্রথম প্রহরের এশা পড়া উত্তম।

দ্বিতীয় প্রহর পার হয়ে গেলে মাকরূহ ওয়াক্ত এসে যায়। তবে এমনিতে কোনো উজর বশতঃ ফজর হওয়ার আগ পর্যন্তই এশা পড়া যায়।

এশার নামাজের আগে ঘুমানো মাকরূহ-

অধিক রাত্রি জাগরণ না করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া মোস্তাহাব। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করাকে খুব অপছন্দ করতেন।

কিন্তু ভালো ও নেক কাজের জন্য এশার নামাজের পর জাগ্রত থাকাতে কোনো ক্ষতি নেই। যেমন মেহমানের সঙ্গে কথা বলা, জ্ঞানার্জন সম্পর্কে আলোচনা করা কিংবা পরিবারকে সময় দেওয়া ইত্যাদি।

মোটকথা, যে জাগ্রত থাকা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না- যেমন ফজরের নামাজ নষ্ট হয়ে যাওয়া; সে জাগ্রত থাকাতে কোনো ক্ষতি নেই।

রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি লাভের দোয়া

সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত। আবার অসুস্থতার মাধ্যমে মুমিনদের পাপ মোচন হয়। সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে যেমন দোয়া করা উচিৎ তেমনি অসুস্থ হলেও তা থেকে পানাহ পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা উচিৎ।

রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভের দোয়া:

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।

অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।

হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়-ফুঁক করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)