
আমপাতার ঔষধি গুণ – শীত শেষ হয়ে শুরু হচ্ছে বসন্ত। তার সঙ্গে আগমন ঘটেছে ফলের রাজা আমের। আম সবাই খেলেও এই পাতার পুষ্টিগুণের কথা আমরা অনেকেই জানি না।
বাতব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে আমপাতা। আর আমের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ উপাদান।



আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমপাতার অনেক উপকারিতার কথা জানানো হয়েছে। এই পাতা ব্যবহারের ফলে যেসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক একটি সক্রিয় উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আমপাতার ঔষধি গুণ- ১. অনেক সময় দেখা যায় বারবার হেঁচকি উঠছে। আমপাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া নাকের কাছে ধরলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ২. বাতের সমস্যায় কচি আমপাতা খুবই উপকারী। কচি আমপাতা পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন সেই পানি খেলে উপকার পাবেন।



৩. আঁচিল নিরাময়ে আমপাতা খুব উপকারী। আমপাতা পুড়িয়ে কালো করে নিন। সেই গুঁড়োর মধ্যে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আঁচিলে লাগান। দ্রুত সেরে যাবে। ৪. আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি মিশিয়ে খান। কিডনিতে পাথর জমবে না।
৫. কচি আমপাতা ব্লাডপ্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৬. শ্বাসকষ্টে ভুগলে প্রতিদিন সকালে আমপাতা দিয়ে তৈরি চা খান। উপকার পাবেন। ৭. আমপাতার সাহায্যে ক্ষত নিরাময়ে করা সম্ভব। আমপাতা পুড়িয়ে যে ছাই হচ্ছে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাবেন।



কিডনির পাথর প্রতিরোধে ৭ উপায়…
কিডনির সংক্রমণকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। আর এখন কিডনিতে পাথরের সমস্যায় অনেক ভুগছেন। যার কারণে মৃত্যু পযন্ত হতে পারে। যে কোনো রোধ হওয়ার আগে সে বিষয়ে সবচেতন থাকতে হবে।
কারণ কোনো রোগের প্রতিরোধ করলে তার আর প্রতিষেধকের প্রয়োজন হবে না। কিডনির পাথর প্রতিরোধের রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায়। জি নিউজ অবলম্বনে আসুন জেনে নেই কিডনির পাথর প্রতিরোধে যা করবেন-



১. কাঁচা লবণ খাওয়ার শরীরের জন্য মারত্নক ক্ষতিকর। কাঁচা লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। কারণ লবণের সোডিয়াম কিডনি খুব সহজে দূর করতে পারে না । তখন লবণ জমা হতে থাকে কিডনিতে। আর অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।
২. প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। এক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। পানি শরীরের বর্জ্য দূর করে ও বর্জ্য কিডনিতে জমা হতেপারে না। ৩. ভুলেও প্রসাব চেপে রাখবে না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।



৪. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ খাবেনন না। আর ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। ৫. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করান। আর এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. বয়স চল্লিশ পার হলে বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস ও উচ্চ র’ক্ত’চাপ পরীক্ষা করান। ৭. বছরে অন্তত একবার প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করান।
পাইলস সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান লাউ শাক !
শীতের একটি সুস্বাদু সবজি হচ্ছে লাউ শাক। এটি একটি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। ফলে দেহের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে লাউ শাক। তাইতো চিকিৎসকরাও এই শাক বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।



চলুন তবে জেনে নেয়া যাক লাউ শাক আমাদের কী কী উপকার করে-
> গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ প্রয়োজন হয়। ফলিক এসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। যার ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃ”ত শিশু জন্মাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে লাউ শাক খান। তবেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
> লাউ শাক উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। আর ভিটামিন-সি ঠাণ্ডা এবং যে কোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।



> লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
> লাউ শাক বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন-এ পরিপূর্ণ। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
> উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় লাউ শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।



> লাউ শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাসিয়াম কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং হৃদস্পন্দন ও র”ক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
> লাউ শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
> আয়রন সমৃদ্ধ লাউ শাক র”ক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত র”ক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে র”ক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
> এই শাকে ক্যালরি কম থাকে এবং এটি কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। তাই এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।