৩০ জনকে দাফন করেও করোনা নেগেটিভ কাউন্সিলর খোরশেদ !

5145

করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে ম’রদেহ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে এই আতঙ্কে যখন স্বজনরাও কাছে আসছেন না, এরমধ্যে নারায়ণঞ্জের একজন কাউন্সিলর খোরশেদ মাঠে নেমেছিলেন মৃ’তের দা’ফনকাজ সম্পন্ন করতে। বলেছেন, করো’নার হটস্পটখ্যাত নারায়ণঞ্জে যদি কেউ ক’রো’নায় মা”রা যাবে তার দা’ফন কাফ’ন নিজেই করবেন।

ইতি মধ্যে ৩০ জনের মতো ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত ও উপসর্গ নিয়ে মা”রা যাওয়া মুসলমান ও হিন্দুর দাফ’ন এবং সৎকার করেছেন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তার নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল যেখানেই নারায়ণঞ্জের কেউ ক’রোনা বা উপসর্গ নিয়ে মা”রা যাচ্ছেন তাদের দাফ’ন বা সৎকার করছেন।

অনেকের মতো তারও ভেতরে আত’ঙ্ক ছিল দা’ফন করতে গিয়ে নিজেও আ’ক্রা’ন্ত হয়ে পড়েছেন কি না ম’রণঘা’তী করো’নায়। তাই পরীক্ষা করেছিলেন এই জনপ্রতিনিধি। তবে শুক্রবার তার ফলাফল পেয়েছেন যাতে নেগেটিভ এসেছে। এ কথা কাউন্সিলর খোরশেদ নিশ্চিত করেছেন।

দলমত নির্বিশেষে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে খোরশেদের উদ্যোগ। কারণ নারায়ণগঞ্জে করো’নার সংক্র’মণ শুরুর পরেই এর বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত কেউ মা”রা গেলে কয়েক ঘণ্টা পর আর তা থেকে সংক্র’মিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ ভাই’রাসগুলো ম”রে যায়।

কাউন্সিলর খোরশেদ জানিয়েছেন, ইতি মধ্যে দুই দফা করো’নার পরীক্ষা করেছেন। সবশেষ গত বুধবার টেস্ট করতে দিয়েছিলেন যার রেজাল্ট শুক্রবার পেয়েছেন। দুটি রিপোর্টেই তার নেগেটিভ এসেছে।

খোরশেদ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি করো’না নিয়ে সক্রিয় ছিলাম ও এখনো আছি। প্রচুর রোগীর বাসায় গিয়েছি। তার মধ্যে অনেকে ছিল যাদের মধ্যে উপসর্গ ছিল, আবার কারো মৃ”ত্যুর পর ক’রোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

অনেকের পরিবারের লোকজনও ভয়ে মৃ’ত’দেহ ধরেনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি যথেষ্ট প্রটোকল পোশাক পরিহিত হয়েই কাজগুলো করতে। কিন্তু তার পরেও ঝুঁ’কি ছিল।

সে কারণেই নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নিজ উদ্যোগেই আমার নমুনা সংগ্রহ করেছিল। দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি মনে করছি এ রিপোর্ট আমার কাজের গতি আরো বাড়াবে।’

কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি প্রতিদিন নিয়মিত চার থেকে পাঁচবার গরম পানিতে গারগিল করতাম। নিয়ম করে প্রতিদিন একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সাথে আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গারগিল করেছি। বিকালে আরেকবার করেছি।

একই ভাবে সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গারগিল করেছি, রাতেও করেছি। দিনে রাতে একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। ভিনেগার একটি এ্যাসিড, এতে জীবাণুর মৃ”ত্যু ঘটে। একই ভাবে গরম পানিতে লবণও কার্যকরী।’

গতকাল শনিবার বিকালেও করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত রোগীর ম’র’দেহ দাফন করেন খোরশেদ এবং তার স্বেচ্ছাসেবকরা। ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজ ১ রমজান। আমাদের ৩০ তম দাফন। আজ একজন যার কো’ভিড-১৯ পজিটিভ বাদ জোহর তার দা’ফন সম্পন্ন করলাম।