কালো রঙের ছোপ শরীরে, অবজ্ঞা করা যাবে না

1638

অনেক সময় শরীরের কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। তবে হয়ত এই কালো দাগে কারো ব্য’থা অনুভূত হয়, কারো বা কিছুই হয় না। যার কারণে দাগ নিয়ে কারোরই মাথা ব্য’থা থাকে না। কিন্তু শরীরে হঠাৎ এই দাগই হতে পারে বড় কোন রো’গ, বা রো’গে’র আগাম ইঙ্গিত।

তাই এমন দাগ দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। ভিটামিন সি’এর অভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে এমন কালচে দাগ ছোপ দেখা যেতে পারে। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পায় এ সময়। একজন মানুষের শরীরে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত।

সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যন্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারবেন। হার্টের স্বাস্থ্য, চোখ সুরক্ষায়, চুলের স’ম’স্যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতাসহ বিভিন্ন স’ম’স্যার সমাধান করতে পারে ভিটামিন সি। এবার তবে জেনে নিন ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়-

১. ভিটামিন সি এর অভাব হলে ঘন ঘন ঠাণ্ডা-জ্বর হয়ে থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যে কোনো ই’ন’ফে’ক’শনের সঙ্গে ল’ড়া’ই করতে প্রস্তুত। ২. এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে হয়ে ফু’লে যায়। পায়ের গোড়ালি, হাতের পেশিতে এমনকি ছোট ছোট ফোঁ’ড়ার মতোও দেখা দেয় ভিটিমিন সি’ এর অভাবে।

৩. নাক দিয়ে র’ক্ত পড়া আরো একটি লক্ষণ। ভিটামিন সি এর অভাবে যে রো’গ হয় তাকে স্কার্ভি রো’গ বলে। ৪. শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্য’থা হয়ে থাকে এ সময়। এ জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি রাখা বাধ্যতা মূলক।

৫. এ সময় ত্বক খসখসে হয়ে যায়। ভিটামিন সি এর অভাবে গালে, বগলে, উরুতে র‌্যাশ হয়ে থাকে। শরীর অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়ার ফলে ফাটতে শুরু এমনকি ঠোঁটও ফে’টে যায়। ৬. ক্লান্ত ও অ’বসাদ বোধ হয় এ সময়। ভিটামিন সি এর অভাবে মা’ন’সিক স্বাস্থ্যও ঝুঁ’কি’তে থাকে।

স্বাস্থ্য র’ক্ষাসহ বহু গুণে আনারসের ভূমিকা

আনারস পুষ্টির অনেক বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। হাড় গঠন, চোখের সমস্যা সমাধান, দাঁতা ও মাড়ির সুরক্ষা, হজমশক্তি বৃদ্ধিসহ নানাগুণ রয়েছে ফলটিতে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে: শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। সকালে আনারস বা সালাদ হিসেবে এর ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

হাড় গঠনে: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো স’ম’স্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জী’বা’ণুর আ’ক্র’মণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রো’গটি আমাদের চোখের রেটিনা ন’ষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রো’গ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

হজম শক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজম শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ব’দহজম বা হজমজনিত যে কোনো স’ম’স্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

র’ক্ত জমাটে বাধা দেয়: দেহে র’ক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (র’ক্তবাহী নালি) দেয়ালে র’ক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিক ভাবে র’ক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত র’ক্ত সরবরাহ করে। আনারস র’ক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।

খাবার উপযোগী ১০০ গ্রাম আনারসে (জলডুগী) পুষ্টির যেসব উপাদান রয়েছে: ৯২.৪ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.১ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ০.৯ গ্রাম আমিষ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ৬.২ গ্রাম শর্করা, ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৮৩০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ০.১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।