খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কমাতে যা খাবেন

1819

গ্যাসের সমস্যা- নাগরিক ব্যস্ততার এই জীবনে নিজের দিকে তাকানোর সময় কোথায়! কাজের পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা ভুলে যাই নিজের খেয়াল রাখতেই। আর তাইতো একেকদিন একেক সময়ে খাওয়া, কখনো বা না খেয়েই থাকা, দীর্ঘক্ষণ পেট খালি রাখা কিংবা রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে পেট ভরানো এ সব নানা কারণেই হানা দেয় গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা।

আমাদের পেটে গ্যাস হতে পারে নানা কারণে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে পেটে গ্যাস থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব।

আসুন জেনে নেই খাবারগুলো কী কী :

১. শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

২. দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

৩. পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

৪. কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

৫. আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

৬. মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

৭. দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

৮. জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ।

৯. ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমি বমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

শীতের সময় স্বাস্থ্য রক্ষায় কাঁচা টমেটোর উপকারিতা কি কি?

শীতের সবজী জাতীয় খাবার দেহে বেশ উপকার করে। বিশেষ করে কাঁচা টমেটো। তবে কাঁচা ও পাকা টমেটো দুটুই শরীরের জন্য বেশ উপকারি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোতে থাকা লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সাররোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিকমতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে।

কাঁচা টমেটোর উপকারিতা:

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: টমেটো চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ-এর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমেটোতে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর: আমাদের শরীরে কখনও খাবারের সঙ্গে তো কখনও অন্যভাবে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই ক্ষ’তিকারক উপাদানগুলি যাতে শরীরের কোনও ক্ষ’তি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে।

ধূমপানের কুপ্রভাব থেকে বাঁচায়: টমেটোয় রয়েছে কিউমেরিক এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা কার্সিনোজের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাই যারা একান্তই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না তারা দয়া করে দিনে ২-৩ টা কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

চোখ ভালো রাখতে কাঁচা টমেটো: কাঁচা টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সার, বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি ক্ষ’য় রোধ করতে দারুন কার্যকরী।

শরীরের আর্দ্রতা পূরণ করে: কাঁচা টমেটোতে ৯৪ শতাংশ পানি থাকে। আর এ কারণে এটি শীতের দিন শরীরের আর্দ্রতা পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি পানিসমৃদ্ধ খাবার গুলি কোষ্টকাঠিন্য কমায়। সেই সঙ্গে খাবারের রুচি বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: ১০-১২টা টমেটো নিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিন। তারপর টমেটোর স্কিনটা খুলে সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।

১০ মিনিট পরে ভালো করে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েকবার এমন ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন বলিরেখা কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পাবে।

কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, বীজ সমেত টমেটো খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।