ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাটা যেসব কারণে উপকারী

1609

মাঠের সবুজ ঘাস দেখলে স্বাভাবিক ভাবেই মন চায় খালি পায়ে কিছুক্ষণ ঘাসের ওপর দিয়ে হাটতে। মনটা যেন প্রশান্তিতে ভরে উঠে সবুজের ঘাসের ওপর দিয়ে হেঁটে বেড়ালে। কেবল মন নয়, দেহের সুস্থতার জন্যও বেশ দরকারী কাজ হল- সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা।

এই শহরে সবুজ ঘাস পাওয়াটাই কঠিন। তাও সকালে হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে পার্কে বা মাঠে গেলে সবুজ ঘাস পেলে কিছুটা সময় অন্তত ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটুন। চলুন জেনে নেই এর উপকারিতা-

পায়ের সুস্থতা রক্ষা করে-

খালি পায়ে হাঁটা বেশ ভালো ব্যায়াম। আর তা যদি হয় ঘাসের ওপর তবে তো কথাই নেই। খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাটলে পায়ে শক্তি বৃদ্ধি পায়, মজবুত হয় পায়ের পেশি ও লিগামেন্টস। পায়ের পাতার শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং পায়ের গোড়ালি পোক্ত করতেও সাহায্য করে এটি।

অনেকে পিঠের ব্যথায় ভোগেন, কারো কারো থাকে হাঁটুর যন্ত্রণা। নিয়মিত ঘাসে খালি পায়ে হাটলে এসব সমস্যা কমবে।

মানসিক অবসাদ দূর করে-

ভোর বেলায় ভেজা ঘাসে খালি পায়ে হাটলে তা প্রভাব ফেলে মনে। মন থেকে দূর হয় অস্বস্তি ও মানসিক চাপ। খালি পায়ে হাটার ফলে মন থাকে শান্ত। সকালে হাটার ফলে সতেজ বাতাস গ্রহণ করা যায়। সবমিলিয়ে, সারাদিন মন ফুরফুরে রাখতে ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাটার বিকল্প নেই।

স্ট্রেস দূর করে-

ভোর সকালে খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটার ফলে মন খুব শান্ত থাকে ও সকালের পরিষ্কার বাতাস, মৃদু সূর্যের আলো ও সবুজ পরিবেশ সবকিছু মিলিয়েই মনকে খুব ভালো রাখার চেষ্টা করে। সকালে হাঁটার মাধ্যমে ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করি আমরা, সূর্যের আলো দেহে ভিটামিন ডি যোগায় এবং সকালের শান্ত পরিবেশ আমাদের মন ভালো রাখে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়-

চোখের জন্য সবুজ রং উপকারী এটা আমরা সবাই জানি। সেই সাথে সবুজ ঘাসে হাটাও উপকারী। আমাদের পায়ে রিফ্লেগজোলোজি জোন। এটি দেহের চোখ সহ আরো অনেক অঙ্গের সাথে যুক্ত। আমরা যখন খালি পায়ে হাটি তখন পুরো দেহের সম্পূর্ণ ভার থাকে পায়ের ওপর। যেহেতু পায়ে থাকা রিফ্লেগজোলোজি জোনের সাথে চোখের সম্পর্ক রয়েছে তাই খালি পায়ে ঘাসের উপর হাটলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিন ডি পুষ্টি যোগায়-

খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাটলে সকালের সূর্যের মিষ্টি আলো পাওয়া যায়। আর এ সূর্যের রশ্নি আমাদের দেহে যোগায় ভিটামিন ডি যা দেহের হাড় মজবুত করতে এবং হাড়জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলাতে বেশ কার্যকর।

সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় সকাল বা বিকালে সবুজ ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটুন।

টুথপেস্টের নানা রকম অজানা ব্যবহার

সচরাচর আপনি যে সমস্যাগুলো ফেইস করেন তার মধ্যে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায় টুথপেস্ট দিয়ে। দাঁত ব্রাশ করার সাথে সাথে টুথপেস্টের রয়েছে আরো অনেক ব্যবহার। আপনারা কি জানেন সেগুলো? যারা জানেন না তাদের জন্যেই এই টিপসগুলো শেয়ার করা। এতে আপনাদের অনেক উপকার হতে পারে। ছোটছোট অনেক সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করে ফেলতে পারবেন।

(১) বাচ্চাদের ফিডার এবং যে কোন বোতলে যদি দুর্গন্ধ হয় তবে সেটা দুর্গন্ধ মুক্ত করতে টুথপেস্টের ব্যবহার অপরিসীম। ফিডার বা বোতলের ভেতরে টুথপেস্ট দিয়ে ধুয়ে নিলে তা পরিষ্কারও হয় আবার বাজে গন্ধটাও চলে যায়।

(২) কোন কিছুতে পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ বসে গেলে তা উঠানোর জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। যেমন টিভির স্ক্রিনে, দেয়ালে কিংবা কাঠের কোনকিছুতে।

(৩) অনেক সময় বাথরুম অথবা বেসিনের আয়না ঝাপসা হয়ে যায়। টুথপেস্ট গ্লাসে লাগিয়ে কোন একটা কাপড় দিয়ে মুছলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু যে আয়না তা নয় যে কোন ধরণের গ্লাস অনেক সুন্দর এবং চকচকে দেখায় যদি টুথপেস্ট দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

(৪) মোবাইলের স্ক্রিনে অনেক কম সময়েই দেখা যায় দাগ হয়ে যায়। এই দাগ অনেক সহজেই টুথপেস্ট ব্যবহার করে তুলে ফেলা যায়।

(৫) কফি এবং চা খেতে খেতে অনেক সময়ই মগে দাগ পরে যায়। আবার দেখা যায় সেয় দাগগুলো পরিষ্কার হয় না সহজে। যদি সেই দাগে কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে রেখে এরপর পরিষ্কার করা হয় তবে খুব সহজেই দাগ উঠে যায়।

(৬) যারা স্কুল কলেজে পরে তাদের কেডস পরতে হয়। আর জুতার সাদা অংশ অনেক কম সময়েই নোংরা হয়ে যায়। আর সেটা পরিষ্কার করা যায় টুথপেস্ট এর মাধ্যমে। তাহলে সাদা অংশ সাদাই হয়ে যায়। রাবারের যে কোন জুতাই পেস্ট দিয়ে পরিষ্কার করা যায়।

(৭) অনেক সময় দেয়ালে কোন কারণে যদি ফুটো হয়ে যায় তবে তা টুথপেস্ট দিয়ে বন্ধ করে দিলে আর বুঝা যায় না।

(৮) যদিও এখন সিডি এত বেশি কেউ ব্যবহার করে না। সিডি তে ছোটখাট স্ক্রেচ পরে গেলে তা তোলা যায় টুথপেস্ট ব্যবহার করেই।

(৯) গাড়ির হেডলাইট অপরিষ্কার হয়ে গেলে তাতে কিছুক্ষণ পেস্ট লাগিয়ে রেখে কোন একটা অপ্রয়োজনীয় কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে নিমিষেই ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।

(১০) নখে কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে কোন একটা কাপড় অথবা তুলা দিয়ে ঘষা দিলে নেইলপলিশ উঠে যাবে। নেইলপলিশ উঠানোর সাথে সাথে নখ অনেক পরিষ্কারও করে। তাহলে নখ পরিষ্কার করতে চাইলেও টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

(১১) কাপড় আয়রন করার জন্য আমরা যে যন্ত্রটি ব্যবহার করি তা পরিষ্কার করা যায় টুথপেস্ট দিয়ে। এতে করে ইস্ত্রি দেখতে চকচকে লাগে।

(১২) মশা কামড় দিলে স্কিনে কেমন ইরিটেশন হয়। মশার কামড়ের জায়গায় যদি অল্প টুথপেস্ট লাগানো যায় তবে ইরিটেশনটা কমে যায়।