
চাঁদা না পেয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারায় আনারস বাগান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাতিমুড়া এলাকার দক্ষিণ ফকিরনালায় এ ঘটনা ঘটে।
আনারস বাগানের মালিক কৃষক ডালিম মিয়া অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের স্থানীয় নেতা দুর্জয় চাকমা চাঁদা দাবি করে আসছিল। দুই সপ্তাহ আগে ২ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।



পুনরায় টাকা দাবি করলে তা দিতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে প্রায় ৫ হাজার আনারস গাছ কেটে ফেলেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করেছে তিনি। তবে ইউপিডিএফের এর স্থানীয় সংগঠক দুর্জয় চাকমা বলেন, তিনি এ ঘটনার সাথে কোন ভাবে সম্পৃক্ত নয়। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
তবে এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করেনি বলে জানান গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।



অনাহারে থাকা ব্যক্তিদের পাশে দাড়াতে শখের বাইক বিক্রি করে দিলো যুবক
করোনার প্রকোপে লাখ লাখ দরিদ্র মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায় তারা এখন অসহায়। একদিন কাজ না করলে পরদিন উনুনে আ’গু’ন জ্বালানোর সাধ্য থাকে না তাদের।
এমন কিছু মানুষের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে এসেছেন আব্দুর রাজ্জাক খান। বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের চলাচলের সঙ্গী, শখের মোটরসাইকেল। আর মোটরসাইকেল বিক্রি টাকায় আড়াই শতাধিক মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন এই যুবক।



রাজধানীর আদাবর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক খান। ঢাকা উত্তর সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তার বসবাস। এলাকাটিতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয়দের মতে, এই এলাকায় প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দিনমজুর শ্রেণির। বর্তমান করোনাভাই’রাসের প্রভাবে চলা সাধারণ ছুটির কারণে আয়ে বন্ধ হয়ে গেছে এসব মানুষের। ফলে এদের অনেকেই অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
দরিদ্র মানুষগুলোর দুর্দশা কাছে থেকে দেখেছেন আব্দুর রাজ্জাক। অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে লকডাইনের শুরু থেকে কাজ করে চলেছেন এই যুবক। নিজের জমানো টাকা এবং কিছু টাকা ধার করে গত মাসে ছয় শতাধিক মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।



কিন্তু এলাকাটিতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ ফোন করে জানাচ্ছেন তাদের অসহায়ত্বের কথা।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত মাসে ছয়শো পরিবারকে খাবার দিয়েছি। এরপর আরও অনেকে কল দিয়েছে। কারও সমস্যা ছোট না। আমার কাছে টাকা ছিল না। প্রথমবার খাবার দিতেও আমি ৪৭ হাজার টাকা ধার করেছি।
মানুষের অসহায়ত্বের কাছে নিজের মোটরসাইকেলকে বড় করে দেখেননি এই যুবক। বলেন, আমার কাছে যেহেতু টাকা নাই। তাই ভাবলাম মোটরসাইকেলটা বিক্রি করে দেই।



অনেকের কাছেই টাকা পাই। কিন্তু এখন কেউ দিতে পারছে না। টাকাগুলো পেলে আমি ঈদের পরে নতুন মোটরসাইকেল কিনতে পারব। কিন্তু বর্তমানে গরিব মানুষগুলো খাবার না পেলে তারা কষ্টে থাকবে। তাদের বর্তমান অবস্থার চাইতে বাইকটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি।
মোটরসাইকেলটি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় তা বিক্রি হয়। সেখান ৪৭ হাজার টাকা ধার শোধ করে করেছেন রাজ্জাক। বাকি টাকা দিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন এই যুবক।