চুয়াডাঙ্গায় জুমার খুৎবায় সুদ নিয়ে কথা বলায় ইমামকে বাদ দিলো মসজিদ কমিটি!

4898

সুদ নিয়ে আলোচনা করায় ইমামকে– চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সুদ খাওয়া হারাম বলে মসজিদে আলোচনা করায় ইমামকে বাদ দিলেন মসজিদ কমিটির সদস্যরা। গত শুক্রবার জীবননগর পৌর শহরের ইসলামপুর আল-আকছা মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, জুমার নামাজের বক্তব্যে সুদ বিষয়ে আলোচনা করেন ইমাম সাহেব। কোরআন ও হাদিসের আলোকে সুদ বিষয়ে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেন। একই সাথে সুদের কারণে সমাজে সৃষ্ট সমস্যাগুলো ব্যাখ্যা করেন।

ইমাম সাহেব কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সুদ দেয়া ও নেয়া দুটোই সমান অপ’রাধ এবং সুদ খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। এ থেকে সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। ঈমান যদি ঠিক রাখতে হয়, যারা সুদের সাথে জরিত তাদের তওবা করতে হবে।

এমন আলোচনা করায় ইমাম সাহেবের উপর ইসলামপুর গ্রামের কয়েকজন মুসল্লি ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠে এবং মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে বলে ইমাম সাহেবকে ওই মসজিদ থেকে বাদ দিয়ে দেন। এ বিষয়ে ইসলামপুর আল-আকছা মসজিদের ওই ইমামের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোকন বলেন, ইমাম সাহেব অনেক দিন এই মসজিদে আছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, মসজিদে একজন নতুন ইমাম আনতে হবে। ইমাম সাহেবকে বিষয়টি বললে তিনি নিজেই এই মসজিদে আর নামাজ না পড়ানোর কথা বলেন।

‘লিভিং ঈগল’ গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম আর নেই

পাবনা-৩ আসনের (চাটমোহর উপজেলা, ফরিদপুর উপজেলা ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা) সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল আজম আর নেই। রোববার সকালে ঢাকার মহাখালি ডিএসএইচও’র তার নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।

সাইফুল আজমকে লিভিং ঈগল বলা হয়। ১৯৬৭ সালের ইরাক যু’দ্ধে অংশ নেন তিনি। যু’দ্ধে একটি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষ’তিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই সাইফুল আজম।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পাশ করে ১৯৫৬ সালে উচ্চতর শিক্ষার্থে পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন তিনি। ১৯৭১ সালের পূর্বে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।

পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৬ জুন তাকে ইরাকি বিমান বাহিনীতে বদলি করা হয়। বিমানঘাঁটি আ’ক্র’মণের সময় তিনি পশ্চিম ইরাকে ছিলেন। সাইফুল আজম তার বর্ণাঢ্য জীবনে নিজেই কিংবদন্তির ইতিহাস রচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ২২ জন “লিভিং ঈগলের” মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।