চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলাভাব দূর করার সহজ উপায়

3116

চোখের ফোলাভাব কমানো – চোখের ফোলাভাব একটি পরিচিত সমস্যা। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকেরই চোখ ফোলা দেখায়। প্রায় নানা কারণে চোখ ফুলে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে ক্লান্তি ও মানসিক চাপে চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। সহজেই ক্লান্তি ধরা পড়ে। যা খুবই অস্বস্তিকর হয়।

বেশি বয়স্ক লাগার আরো একটি কারণ হচ্ছে চোখের নিচে ফোলা বা কালো দাগ। তবে ঘরোয়া কিছু উপায়ে খুব সহজেই আপনি এর থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে চোখের ফোলাভাব কমানোর পাশাপাশি কালো দাগ দূর করা সম্ভব-

আলু- কাঁচা আলু পাতলা করে কেটে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। তারপর বন্ধ চোখের উপর রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চোখের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে।

ঠাণ্ডা দুধ- আপনার চোখ যদি সব সময়ই ফুলে থাকে তাহলে ঠাণ্ডা দুধ আপনার জন্য দারুণ উপকারী। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা দুধে তুলোর বল ভিজিয়ে নিন। এবার এটি চোখে দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিন।

তেলের ব্যবহার- একটা বাটিতে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেল দিয়ে ভালো করে মেশান। তুলার বল ভিজিয়ে চোখে রেখে বিশ মিনিট অপেক্ষা করে তুলে ফেলুন। ফোলাভাব কমে যাবে।

শসা- চোখের নীচের ফোলাভাব দূর করার জন্য শসা বেশ উপকারী। ঠাণ্ডা করা দুই স্লাইস শসার টুকরো চোখের উপর রেখে ২৫ মিনিট অপক্ষা করুন।

ঠাণ্ডা টি-ব্যাগ- ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত দুই ধরণের টি-ব্যাগই ব্যবহার করা যায়। সরাসরি ঠাণ্ডা পানিতে টি-ব্যাগ চুবিয়ে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করেও ব্যবহার করতে পারেন।

চামচ- দুটি চা চামচ ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ফোলা চোখে লাগালে উপকার পাবেন। হাতে বেশি সময় না থাকলে এই পদ্ধতিতে বেশি উপকার পাবেন।

লবণ পানি- চার কাপ পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়। কুসুম গরম পানির এই মিশ্রণে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে নিন। এটি চোখের পাতার উপর কয়েক মিনিট রাখুন। এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে কয়েকবার করুন।

ডিমের সাদা অংশ- ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে বা বিট করে শক্ত ফোম করে নিতে হবে। এরপর ব্রাশের সাহায্যে চোখের চারপাশে লাগিয়ে মিনিট বিশেক অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি ব্যাগ- ক্যামোমাইল বা গ্রিন টির ব্যাগ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিশ্রাম নিন।

পানি পান করুন- সারাদিন যত সম্ভব পানি পান করুন। শরীরে পর্যাপ্ত পানি গেলে তা ফোলাভাব কমায়। তাই চোখে ফোলাভাব দেখলেই অন্তত এক গ্লাস পানি পান করুন।

এ সব পদ্ধতি চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি কালো দাগও দূর করবে নিমিষেই। তাই নিজেই নিজের যত্ন নিন এসব উপায়ে।

লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সবাই দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে বন্দী অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আবার সকালে উঠেই বসে পড়ছেন কাজে। অনেককে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের কারণে সারাদিন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে। কারও কারও আবার রাত পর্যন্ত এভাবেই কাজ করতে হচ্ছে।

ওয়ার্ক ফর্ম হোমের চাপে অনেকের নাওয়া-খাওয়ার সময়ও ঠিক থাকছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সময় নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম, বাড়ির ছাদে হাঁটাহাটি, সম্ভব না হলে ঘরেই হাঁটাহাটি শুরু করা উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি ব্যক্তির সুস্থ থাকার জন্য ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন যোগাব্যয়াম। শরীরের মেদ ঝরাতে ঘড়ি ধরে হাঁটলেও ক্যালরি পুড়বে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে নিয়ম মেনে রাস্তায় বেরিয়ে হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না।

চিকিৎসকরা বলছেন, যেহেতু এখন রমজান মাস চলছে তাই রাতে খাবার পর অবশ্যই কিছুক্ষণ ট্রেডমিলে হেঁটে নিতে পারেন। অন্য সময় দুপুরের খাবারে পরও হাঁটতে পারেন। এতে হজম শক্তি যেমন বাড়বে তেমন মেদও ঝড়বে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ধীরে ধীরে হাঁটার সময়টা বাড়িয়ে দিতে পারেন।

প্রথম ১৫ মিনিট, পরে তা ঘণ্টাখানেকে পরিণত করুন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাউকে সঙ্গে না নিয়ে একাই হাঁটা উচিত। বাড়িতে বড় জায়গা বা ছাদ না থাকলেও সমস্যা নেই। বসার ঘরেই হেঁটে বেড়াতে পারেন। আবার সিঁড়িতে বার বার ওঠা-নামা করলেও ওজন কমবে। হাঁটা ছাড়াও কিছু বিশেষ ব্যায়ামের সাহায্যেও ওজন কমানো যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকছে। এ কারণে শরীর খারাপ থাকলে হাঁটার প্রয়োজন নেই। নিজের শরীরের পরিস্থিতি বুঝে যোগব্যায়াম করা বা হাঁটা উচিত।

এছাড়া ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা থাকলেও হাঁটা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর প্রধান উপায় হল- সঠিক মাত্রায় রাতের ঘুম ও চিন্তা মুক্ত থাকা। তারা বলছেন, অনেক সময় অনিদ্রা ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেও মেদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই লকডাউনের মত কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে বর্তমান পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়ে হাসিখুসি থাকলেই ঝরেঝরে হয়ে উঠতে পারেন আপনিও।