ছেলের কাছে বৃদ্ধাশ্রমে বসে শেষ ইচ্ছাটি জানাল দুঃখিনী মা

2514

ছয় বছর আগে জহুরা বেগম (ছদ্মনাম) আশ্রয় জুটেছে বৃদ্ধাশ্রমে। জহুরা বেগমের বয়স এখন আশি। বৃদ্ধাশ্রমে বসে ছেলের কথা স্মরণ পড়ে মায়ের।

তাই বৃদ্ধাশ্রম থেকেই বেদনা ভরা একটি খোলা চিঠি ছেলের উদ্দেশ্যে লেখেন তিনি। একজন দুঃখিনী মায়ের সে ক’ষ্টভরা চিঠি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘প্রথমে আমার আদর ও ভালোবাসা নিও। অনেক দিন তোমাকে দেখি না বাবা, আমার খুব ক’ষ্ট হয়। কান্নায় আমার বুক ভে’ঙে যায়। কিন্তু দেখার মত কেউ নাই। আমার জন্য তোমার কী’ অনুভূতি আমি জানি না। তবে ছোট বেলায় তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না।

আমি যদি কখনও তোমার চোখের আড়াল হতাম মা মা বলে চিৎকার করতে। অনেক কান্না-কাটি করতে। মা কে ছাড়া কারো কোলে তুমি যেতে না। সাত বছর বয়সে তুমি আমগাছ থেকে পড়ে হাঁটুতে ব্য’থা পেয়েছিলে।

তোমার বাবা হালের বলদ বিক্রি করে তোমার চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন তিন দিন, তিন রাত তোমার পাশে না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, গোসল না করে কাটিয়েছিলাম। এগুলো তোমার মনে থাকার কথা নয়।

তুমি একমুহূর্ত আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার বিয়ের গয়না বিক্রি করে তোমার পড়ার খরচ জুগিয়েছি। হাঁটুর ব্য’থাটা তোমার মাঝে মধ্যেই হতো। বাবা, এখনও কি তোমার সেই ব্য’থাটা আছে? রাতের বেলায় তোমার মাথায় হাত না বুলিয়ে দিলে তুমি ঘুমাতে না। এখন তোমার কেমন ঘুম হয়? আমার কথা কি তোমার একবারও মনে হয় না?

তুমি দুধ না খেয়ে ঘুমাতে না। তোমার প্রতি আমার কোনো অ’ভি’যোগ নেই। আমার কপালে যা লেখা আছে হবে। আমার জন্য তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি খুব ভালো আছি। কেবল তোমার চাঁদ মুখখানি দেখতে আমার খুব মন চায়। তুমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবে। তোমার বোন, তার খবরা-খবর নিও।

আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলো আমি ভালো আছি। আমি দোয়া করি, তোমাকে যেন আমার মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। কোনো এক জ্যোস্না ভরা রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভেবে নিও।

বিবেকের কাছে উত্তর পেয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার শেষ একটা ইচ্ছা আছে। আমি আশা করি তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মা’রা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর দিও।

আর এ জন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাক ফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি। নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কা’ফ’নের কাপড় কিনে নিও। তোমার ছোটবেলার একটি ছবি আমার কাছে রেখে দিয়েছি। ছবিটা দেখে দেখে মনে মনে ভাবি এটাই কি আমার সেই খোকা!’

দীর্ঘদিন পর মালিকের দেখা পেয়ে গলা জড়িয়ে ধরলো উট !

ভালবাসার কোনও শর্ত হয় না। এই পৃথিবীতে কে যে কেন, কাকে ভালবাসে তার সত্যি কোনও ব্যাখ্যা হয় না। মনের মিল থাকলে তখন আর কোনও বাধাই যে বাধা নয়। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার বোধহয় শুধুই ভালবাসা। কিন্তু ভালবাসা কি শুধু দু’টি মানুষের মধ্যে হয়?

দু’জন মানুষ যেমন একে-অপরকে চূড়ান্ত ভালবাসতে পারেন, তেমনই আবার একটি মানুষ এবং তাঁর পোষ্যের মধ্যে গড়ে ওঠে নিঃশর্ত ভালবাসার সম্পর্ক।

তারা একে-অপরের উপর অভিমান করে, রাগ করে আবার ভালবাসে। এমনই এক ভালবাসার মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। ওই ছবি দেখে মালিক এবং পোষ্যকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছেন মানুষ।

ভারতের বনদপ্তরের কর্মকর্তা সুশান্ত নন্দা গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। মাত্র সাত সেকেন্ডের ওই ভিডিও-তে দেখা গেছে- একটি উট এক ব্যক্তির গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উট কী ওই ব্যক্তির উপর হামলা চালাতে চাইছে, ছবি দেখে প্রথমে এ প্রশ্নই মনে জেগেছিল সকলের। কিন্তু ছবির ক্যাপশনে চোখ পড়তে বদলে গেল ভাবনা।

ওই ক্যাপশনে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ওই উটের মালিক দীর্ঘদিন বাড়িতে ছিলেন না। তাই পোষ্যের সঙ্গে দেখা হয়নি তার। মুখে বলতে পারে না ঠিকই তবে মালিককে দেখতে না পেয়ে এতদিন মন খারাপ হয়েছে মরুভূমির জাহাজের।

তাই তো মালিকের দেখা পেয়ে আবেগ চাপা দিতে পারেনি অবলা পোষ্য। সে মালিকের গলা জড়িয়ে ধরে। মালিককে যে মোটেও কাছছাড়া করতে চায় না, সেকথা বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে উট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভা’ই’রা’ল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। উটের অমলিন ভালবাসার জোয়ারে ভাসছে নেটদুনিয়া। লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারের বন্যা। ওই ভিডিও দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন,‘ভালবাসার যে কোনো ভাষা হয় না, তাই প্রমাণ করল পোষ্য।’

হিংসা, হানাহানি বন্ধ করে প্রত্যেক মানুষেরও ভালবাসার মাধ্যমে জগত জয়ের চেষ্টা করা উচিত বলেও মত অনেকের। আবার কেউ কেউ বলছেন,‘কীভাবে কাউকে ভালবাসতে হয় সেই শিক্ষা উটের কাছ থেকে সাধারণ মানুষের নেয়া উচিত।’