জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আযহারীর ইতিহাস

1363

বর্তমান সময়ে এক শ্রেণির মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছেন ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আযহারী। তবে বিভিন্ন কারণে সমালোচিতও হয়েছেন আযহারী।

সম্প্রতি দেশের নানা স্থানে তাঁর ওয়াজ মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কোথাও বা আবার তিনি প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। আসুন জেনে নিই ড. মিজানুর রহমান আজহারীর পুরো পরিচয়, তাঁর জন্ম, তাঁর পড়াশোনা ও তাঁর অভিজ্ঞতা।

২৬ শে জানুয়ারী ১৯৯০ সালে একটি মুসলিম পরিবারে বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। তিনি মিশরের কায়রোতে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

জানা গেছে , মিজানুর রহমান আজহারী ২০০৪ সালে দাখিল (SSC) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম (HSC) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের টপ মেরিট লিস্টে জায়গা করে নেন।

২০০৭ সালে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় তিনি হাজার হাজার কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বরাবরের মত ১ম স্থান অধিকার করে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিশরে গমন করেন।

সেখান থেকে তিনি Department of Tafseer & Quranic Science হতে ২০১২ সালে ৮০% সিজিপিএ নিয়ে অনার্স(Honours)উত্তীর্ণ হন।

মিশরে ৫ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর তিনি গার্ডেন অফ নলেজ খ্যাত মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্টগ্রাজুয়েশন ও এমফিল এবং পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৩ সালে তিনি মালয়েশিয়া গমন করেন।

উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of Quran and Sunnah Studies থেকে তিনি ২০১৬ সালের মধ্যে পোস্টগ্রাজুয়েশন এবং এমফিল শেষ করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল 3.82 out of 4.

আজহারীর মাহফিলে কালিমা পড়ে ২ হিন্দু যুবকের ইসলাম গ্রহণ !

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর ওয়াজ মাহফিলে দুই যুবক হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গত শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর হায়দারগঞ্জ তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর আলোচনা শুনে কোরআনকে ভালোবেসে ও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে পবিত্র কালেমা পড়ে তারা নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

ইসলাম গ্রহণ করার পর তারা বলেন, ইসলাম গ্রহণ করতে আমাদের কেউ বাধ্য করেননি। কোরআনকে ভালোবেসে ও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমরা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছি।