‘জীবনের ঝুঁকিতে আছি তাই বউ-বাচ্চা রেখে যাচ্ছি আমেরিকায়’: ব্যারিস্টার সুমন

1897

আপনারা তাদের খেয়াল রাখবেন – বাংলাদেশে জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় দুই সন্তান, স্ত্রী ও মাকে আমেরিকায় রেখে আসছেন বলে জানিয়েছেন সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে ফেসবুক লাইভ নিয়ে আলোচনায় আসা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে আমি সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছি। এ বাড়েই প্রথম আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার বউ বাচ্চা আমেরিকায় রেখে যাচ্ছি।

আমার সম্ভাবনা, আমি যদি বেঁচে না থাকি তাহলে আমি চাইনা আমার পরবর্তী প্রজন্ম ওইভাবে সাফার করুক। ওরা যেন আমাকে দোষারোপ করতে না পারে। আমার দুই বাচ্চা, আমার মা এবং আমার বউ আমেরিকায় রেখে যাচ্ছি। আমি যদি কখনও ফিরে আসতে না পারি, পৃথিবীতে বেঁ”চে না থাকি, তাহলে আপনারা তাদের খেয়াল রাখবেন।

আজ ২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আমেরিকায় প্রবাসীদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সুমন। পরে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যটির ভিডিও নিজ ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন তিনি।

বাংলাদেশের ভালো যারা চেয়েছেন তারা বেশিদিন বাঁ”চ”তে পারেনি উল্লেখ করে সুমন বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, যারা বাংলাদেশের ভালো চেয়েছেন তারা কেউ বেঁ”চে থাকতে পারেন নাই। যারা বিএনপি করে তাদের উদ্দেশ্যে বলি- জিয়াউর রহমান বেঁ”চে থাকতে পারেন নাই।

যারা আওয়ামী লীগ করেন- বঙ্গবন্ধু বেঁ”চে থাকতে পারেন নাই। শেখ হাসিনার উপর এ পর্যন্ত ১৯/২০ বার হা”ম”লা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাও যদি বেঁ”চে থাকতো তাহলেও বাংলাদেশ এতো পিছনে থাকতো না।

বাংলাদেশী এই আইনজীবী বলেন, নুসরাত হ”ত্যা”র পর ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে যখন মামলা করেছিলাম তখন আমার প্রতিপক্ষ আইনজীবী বলেছিলন, মাইলর্ড- ব্যারিস্টার সুমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসার জন্য এসব করেছে। আমি পরের দিন মহামান্য আদালতকে বলেছিলাম, শেখ হাসিনার নজরে পড়ার জন্য আমার মত মানুষ যদি আরো দাঁড়িয়ে যেত তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেত।

অনেকে বলেন বাংলাদেশে মাইনোরিটি হচ্ছে হিন্দু। আবার অনেকে বলেন বাংলাদেশে মাইনোরিটি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা। কিন্তু আমি বলি এরা কেউ মাইনোরিটি সম্প্রদায় নয়। মাইনোরিটি হলো সততা। সত্য বলার লোক বাংলাদেশে অনেক কম। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হচ্ছে সৎ মানুষগুলো।

যে দোয়া আল্লাহ্ কখনোই ফিরিয়ে দেন না

মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, দয়ালু। তাঁর কাছে মন থেকে তওবা করে ক্ষমা চাইলে তিনি নিশ্চয় তা মাফ করে দেন। তাই বছরের শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজানে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ঠি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দিগীর মধ্যে দিয়ে কাটায়।

আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অন্যত্র বলেছেন, যখন কোনো বান্দা আমার কাছে দোয়া করে, আমি তার দোয়া কবুল করি।

রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার চেয়ে মূল্যবান বস্তু কিছুই নেই (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)। রমজান দোয়া কবুলেরও মাস। রসুল (সা.) বলেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না (ইবনে মাজাহ)।

অন্যত্র বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল (তিরিমিজি)। তবে দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হলো বৈধ উপার্জন ও খাদ্য। রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আকাশের দিকে দুহাত তুলে ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ’ বলে দোয়া করে অথচ তার খাবার, পানীয়, পোশাক অবৈধ এবং তার রক্ত-মাংস সৃষ্টি হারাম উপার্জনে, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে (মুসলিম)?

পূর্ণ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মুনাজাতের আহ্বান জানিয়েছেন নবীজী (সা.)। ঘোষণা করেছেন, উদাসীন ও অমনোযোগীদের দোয়া কবুল করা হয় না এবং রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। (তিরমিজী)

বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) রচনাবলিতে উল্লেখ রয়েছে, হে মহান অতিথি রোজা, তোমাকে সালাম। তুমি তারাবিহ, তাহাজ্জুদ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাস, তুমি পাপমুক্তি ও কল্যাণ অর্জনের মাস।

তুমি দোয়া কবুলের মাস। তোমাকে সালাম, শুভেচ্ছা। তুমি দোয়া মুনাজাতের উপযুক্ত সময়। রোজা, তুমি এমন নও যে, তোমাকে বিদায় দেওয়া যায়। কিন্তু তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো, এই বিরহ-বেদনায় আমরা কাতর। আগামী বছর তোমার অপেক্ষায় থাকলাম।