
শরীরের উচ্চতার সাথে ওজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজনের একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে। এর থেকে ওজন কমলেও স’ম’স্যা, আবার বাড়লেও বি’প’দ। আদর্শ ওজন নির্ণয়ের একটা পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিতে এক জন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে ও উচ্চতা মিটারে মাপা হয়।



ওজন কে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগ ফলকেই বিএমআই (BMI) বলা হয়। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে তা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন ঠিক কত হওয়া উচিত, তা না জেনে ওজন কমালে বা বাড়ালে স্বাস্থ্যের মা’রা’ত্ম’ক ক্ষ’তি’র আ’শ’ঙ্কা তৈরি হতে পারে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন ঠিক কত হওয়া উচিত…
১- ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি থেকে ৫ ইঞ্চিদের জন্য ওজন থাকতে হবে ৪০ থেকে ৫৮ কেজি। এটি পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য। আর নারীদের জন্য ৩৬ থেকে ৫৫ কেজি।



২- ৫ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৮ থেকে ৬০ কেজি ও নারীদের ওজন ৪৫ থেকে ৫৭ কেজি। ৩- ৫ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫০ থেকে ৬০ কেজি ও নারীদের ওজন ৪৬ থেকে ৫৮ কেজি। ৪- ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫১ থেকে ৬৩ কেজি ও নারীদের ওজন ৪৮ থেকে ৬১ কেজি।
৫- ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫২ থেকে ৬৬ কেজি ও নারীদের ওজন ৪৮ থেকে ৬৩ কেজি। ৬- ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৫ থেকে ৬৮ কেজি ও নারীদের ওজন ৫০ থেকে ৬৫ কেজি। ৭- ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৬ থেকে ৭০ কেজি ও নারীদের ওজন ৫৩ থেকে ৬৭ কেজি।



৮- ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৭ থেকে ৭২ কেজি ও নারীদের ওজন ৫৪ থেকে ৬৯ কেজি। ৯- ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬০ থেকে ৭৪ কেজি ও নারীদের ওজন ৫৬ থেকে ৭১ কেজি। ১০- ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৩ থেকে ৭৬ কেজি ও নারীদের ওজন ৫৭ থেকে ৭২ কেজি।
১১- ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৫ থেকে ৭৯ কেজি ও নারীদের ওজন ৫৯ থেকে ৭৩ কেজি। ১২- ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৭ থেকে ৮১ কেজি ও নারীদের ওজন ৬১ থেকে ৭৫ কেজি। ১৩- ৬ ফুট ০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৯ থেকে ৮৩ কেজি ও নারীদের ওজন ৬৩ থেকে ৭৭ কেজি।



১৪- ৬ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭১ থেকে ৮৫ কেজি ও নারীদের ওজন ৬৫ থেকে ৭৯ কেজি। ১৫- ৬ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭৩ থেকে ৮৭ কেজি ও নারীদের ওজন ৬৭ থকে ৮১ কেজি।
শরীর সুস্থ ও বয়স ধরে রাখতে কখন ফল খাবেন
শরীরে পুষ্টি উপাদান পাওয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ফল খাওয়া। বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শরীর সুস্থ রাখতে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার নির্দেশ দেন। কারণ এসব খাবারে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।



তবে নিয়ম না মেনে ফল খেলে তা শরীরের জন্য ভালো না হয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। দিনের দিনের ঠিক কোন সময়ে ফল খাওয়া উচিত তা অনেকেই জানেন না। তবে সময় না মেনে ফল খাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফল মানেই প্রচুর প্রাকৃতিক ভিটামিন, মিনারেলস আর ফাইবারের আকর। তাই প্লেটের অর্ধেকটা যদি ফল আর অর্ধেকটা সবজিতে ভরা থাকে তাহলে এমনিতেই পেট ভরবে এবং ভরা পেটে না খালি পেটে ফল খাবেন সেই দ্বন্দ্বও থাকবে না। খবর এনডিটিভি’র।



এ ছাড়াও পুষ্টিবিজ্ঞানীদের দাবি, খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে যদি কয়েক টুকরো ফল খেয়ে নেওয়া যায় তাহলে বেশি খাওয়ার সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন। বাঁচবেন ওবেসিটির ঝামেলা থেকেও। তবে যেসব ফলে শর্করা বা চিনির মাত্রা বেশি সেগুলি খাবার পাতে খাওয়া উচিত নয়।
এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সব সময়েই ফল ও খাবার খাওয়ার মধ্যে কম পক্ষে আধ ঘণ্টা ফারাক রাখা উচিত। না হলে খাবার বা ফল কোনোটাই হজম হবে না। কারণ ফল নিজেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবার।



কখন ফল খাওয়া উচিত ? পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, সকালে উঠে এক গ্লাস পানির পর ফল খেলে শরীর দূষণ মুক্ত হবে। হজম ক্ষমতা বাড়বে। আরও বেশি পুষ্টি পাবেন আপনি। তবে সাধারণত সকালের ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের খাওয়ার মাঝের সময়ে ফল খাওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া বিকেলে বা সন্ধেয় স্ন্যাকস হিসেবেও ফল বেছে নিন। অর্থাৎ সন্ধ্যার পর ফল খাওয়া যেতেই পারে।এছাড়া খাওয়ার আগে কয়েক টুকরো ফল খেলে পাকস্থলীতে ফাইবার যায়। যা অন্য খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আবার পেটও ভর্তি রাখে। বেশি ফাইবার যুক্ত ফল হল আপেল, ন্যাসপাতি, কলা।