
লোকটি নিজের নাম খলিলুর সরদার (৭০), বাড়ি ভোলায়, এতটুকু ছাড়া কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। পরিবারের পরিচয় স’না’ক্ত করতে সকলের সহায়তা চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে তাকে উ’দ্ধা’র করে পুলিশ।
সোনারগাঁও থানা পুলিশ জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৭০ বয়সের এক বৃদ্ধকে দীর্ঘ সময় একই স্থানে বসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন লোকটির কাছে গিয়ে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করে।



কিন্তু লোকটি নিজের নাম খলিলুর সরদার, বাড়ি ভোলা এতটুকু বলতে পারে। এর বেশী তার মনে পড়ছে না। তিনি কিভাবে এখানে এসেছেন তা মনে করতে পারছেন না। এ সময় লোকজন কিভাবে সে এখানে এসেছে সেটাও জানার চেষ্টা করে কিন্তু সেটাও সে বলতে পারে না। পরে দুপুরের খাবার খাইয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বিকেলে বৃদ্ধকে উ’দ্ধা’র করে থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখেন।
সোনারগাঁও থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ জানান, লোকটিকে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। আমরা বৃদ্ধকে উ’দ্ধা’র করে থানায় নিয়ে এসেছি। বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ পাঠিয়েছি বৃদ্ধটির পরিচয় স’না’ক্ত করতে।



শহীদ মিনারে জুতা পায়ে অধ্যক্ষ, বি’ক্ষু’ব্ধ জনতার গণ-ধো’লা’ই
জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে বিজয় দিবসের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করলেন উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তাহের।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষু’ব্ধ প্র’তি’ক্রি’য়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার সকালে জুতা পায়ে কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে ওঠায় দুপুরে বি’ক্ষু’ব্ধ জনতা ওই অধ্যক্ষকে গ’ণ’ধো’লা’ই দিয়েছে। বর্তমানে তিনি উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের তার সহকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে যান। এ সময় তিনি জুতা পায়ে পুষ্পমাল্য হাতে নিয়ে শহীদ মিনার বেদীতে উঠেন। এ সময় তার সহকর্মীরা জুতা খুলে উঠতে বললেও তিনি জুতা খুলেননি।



পরে জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার ছবি মুহূর্তে ফেসবুকে ভা’ই’রা’ল হয়ে গেলে স্থানীরা ক্ষু’ব্ধ হয়ে দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসেই অধ্যক্ষকে গ’ণ’ধো’লা’ই দেয়।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আবু তাহেরের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জুতা পায়ে ওঠার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অজান্তে জুতা পায়ে উঠেছি। তাতে আপনাদের কোন সমস্যা ? উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, অধ্যক্ষ মো. আবু তাহেরের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আ’ঘা’ত ও জ’খ’মের চিহ্ন রয়েছে।



উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, শহীদদের প্রতি চরম অ’ব’মা’ননা। আমি তার এ আচরণের নি’ন্দা’সহ বিভাগীয় শা’স্তি’মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না তাদের কোনো না কোনো কর্মের মধ্য দিয়ে সেই চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ঘটনার নি’ন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবশ্যই তার বি’রু’দ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।