দুবাই প্রবাসীর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লাখ টাকা গায়েব; এই নারীকে খুঁজে পেতে সহায়তা করুন

4369

দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাংলাদেশের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ডেমরা শারুলিয়া শাখায় অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লাখ টাকা গায়েবের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক নারীকে খুঁজছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ওই নারীর ছবিও প্রকাশ করেছে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

তার কোনো পরিচয় কিংবা তথ্য পাওয়া গেলে ডিবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ডেমরা শারুলিয়া শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেই অ্যাকাউন্টে তার ব্যক্তিগত ১৩ লাখ টাকা জমা ছিল।

গত নভেম্বর মাসে সাইফুল দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসে দেখতে পান তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর রমনা থানায় একটি মামলা করেন তিনি। ওই মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)৷

ডিবির তদন্তে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট তারিখের মধ্যে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

মামলাটির তদন্তকালে ওই ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন বুথের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সংগ্রহকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, একজন নারী ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকা বিভিন্ন বুথ থেকে উত্তোলন করছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বিষয়টি তদন্ত করছে।

ছবিতে উল্লেখিত নারীর কোনো পরিচয় কিংবা তথ্য পাওয়া গেলে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

‘আমি ৩ দিন খাইনি, আমাকে মা’রি’স না’

আ’হ’ত ছেলের ওষুধ আনতে গিয়ে প্রতিবেশীর ধা’রা’লো অ”স্ত্রে গুরুতর জ’খ’ম হন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার পশ্চিম দাপুনিয়ার হীরা মিয়া (৩৫)।

হা’ম’লা’র সময় হীরা তাদের বারবার অনুনয়-বিনয় করে বলেছেন, ‘আমি তিন দিন ধরে খাই না, উপোস; আমাকে মা’রি’স না’। এমন আ’কু’তি করেও বাঁ’চ’তে পারেননি তিনি।

রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মা”রা যান আহত হীরা মিয়া।

রোববার দুপুরে সহজ-সরল হীরা মিয়ার জী’ব’নযু’দ্ধে’র এমন বর্ণনা দিতে গিয়ে গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল হালিম এ কথাগুলো বলেন।

হীরার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার পশ্চিম দাপুনিয়ায়। নি”হ”ত হীরা মিয়া মৃ”ত আবু তালেবের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ১২ জানুয়ারি প্রতিবেশী লাল মিয়ার ছেলে পিয়ালের (১২) সঙ্গে খেলা নিয়ে হীরা মিয়ার ছেলে জিহানের (৮) কথা কা’টা’কা’টি হয়। পিয়াল এ সময় জিহানকে মা’র’ধ’র করে।

ওই দিন রাতে জিহানের জন্য ওষুধ আনতে যাওয়ার পথে লাল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হীরা মিয়ার গতিরোধ করে এ’লো’পা’তা’ড়ি’ভা’বে কু”পি”য়ে গুরুতর জ’খ’ম করে। তার চিৎকারে ছোট ভাই মানিক মিয়া (৩০) ভাইকে বাঁ’চা’তে গেলে তাকেও কু’পি’য়ে আ”হ”ত করে তারা।

আ’হ’ত দুভাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হীরার অবস্থা আ’শ’ঙ্কা’জ’ন’ক হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়। চিকিৎসাধীন রোববার ভোরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মা”রা যান।

নি”হ”তে”র স্ত্রী নাজমা আক্তার স্বামীর মৃ”ত্যু”র খবরে জ্ঞান হারান। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে এলেও এখন রয়েছেন বাকরুদ্ধ। ছেলে হ”ত্যা”র বিচার চেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা আম্বিয়া খাতুন।

গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন জানান, নি”হ”তে”র ঘটনায় মা’ম’লা’র প্রস্তুতি চলছে।