নারী চিকিৎসককে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এক বাড়িওয়ালা !

1874

নোয়াখালীতে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে – করোনা ভাইরাসে সং’ক্র’মি’ত হওয়ার আ’শ’ঙ্কা’য় এক নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে এক বাড়িওয়ালা। ওই নারী চিকিৎসক সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিভাগে কর্মরত। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে।

ডা. আসমা আক্তার জানান, তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তারা সকলেই করোনা ভা’ইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সরকার নির্দেশিত সকল নিয়ম কানুন মেনে সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে রফিক মাস্টারের এলাকার মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে তার ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লায়। হঠাৎ দু’দিন আগে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী তাকে ডেকে নিয়ে আর ওই ভবনে যেতে নিষেধ করেন এবং তাকে অপমান অপদস্ত করেন।

বাড়ির মালিকের ধারণা তার বাইরে যাওয়া-আসার কারণে তারা করোনা আ’ক্রা’ন্ত হবেন। যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে যেহেতু কুমিল্লায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকার সুযোগ নেই তাই বর্তমানে তিনি সোনাইমুড়ীতে একটি বেসরকারি হসাপাতালে কোনোভাবে দিন পার করছেন।

ওই চিকিৎসকের স্বামী জানান, তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। কিন্তু গত দু’দিনেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজেকে নি’র্দো’ষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। ওই নারী যে চিকিৎসক আমি তা জানি না।’

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ঘটনাটি একেবারে অ’মা’ন’বি’ক। এ সংকট মুহূর্তে চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে আ’ক্রা’ন্ত মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় একজন বাড়ির মালিকের অ’মা’ন’বি’ক এ কাণ্ড মেনে নেয়া যায় না।

কুমিল্লায় শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

কুমিল্লায় করোনা’ভা’ইরাস পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে শিগগিরই। করোনা পরীক্ষার যন্ত্র রিয়েল টাইম পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (আরটিপিসিআর) মেশিন বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পরীক্ষা কাজটি শুরু হলে কুমিল্লা জেলার ৬৫ লাখ লোকসহ কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় দেড়কোটি লোক পরীক্ষার সুবিধা পাবেন। ঢাকার তুলনায় দূরত্বগত দিক থেকেও কুমিল্লায় যাতায়াতে মানুষ সুবিধা পাবে। এছাড়াও কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা আইসিইউ ওয়ার্ডের জন্য ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেশিনও সহসাই স্থাপন হবে বলেও তিনি জানান।

শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আজাদ এটি গ্রহণ করেন। শনিবার থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই মেশিনটির সংযোজন ও স্থাপন কাজ শুরু হবে।

কাজ শেষে এটি পরিচালনার জন্য টেকনিক্যাল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা ৬ আসনের সংসদ সদ্যস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

কুমেক হাসপাতালের পরিচালক আরও জানান, করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিদিন এখানে পরীক্ষা করা হবে। তবে ফলাফল এখানে দেয়া হবে না। প্রতিদিনের ফলাফল ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল জানানো হবে।