পবিত্র কুরআন হাতে লিখে অসাধ্য সাধন করলেন এক মুসলিম তরুণী

3056

রেশমি কাপড়ে সোনালী হরফে পুরো কুরআন লিখে রেকর্ড গড়লেন মুসলিম তরুণী- পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাব। যা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বিশ্ব মানবতার কল্যাণে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নাজিল করা হয়েছে।

পবিত্র আল কুরআন নাজিল করে মহান আল্লাহ তা’আলা সূরা হিজর এর ৯নং আয়াতে ঘোষণা করেন, ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।’

মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন হাতে লিখে অসাধ্য সাধন করলেন আজারবাইজানের এক মুসলিম তরুণী। দীর্ঘ তিন বছরের পরিশ্রমে তিনি রেশমি কাপড়ে সোনালী হরফে লিখে শেষ করেছেন পবিত্র কুরআন। তার নাম তানজালে মুহাম্মদজাদে। আজারবাইজানে রেশমি কাপড়ে সোনালী হরফে কুরআন লেখার কাজটি এর আগে আর হয়নি। তিনিই প্রথম যোগান্তকারী অভূতপূর্ব এ সিদ্ধান্ত নেন।

পৃথিবীতে মৌলিকতায় ভাস্বর স্বাক্ষর রাখতে সকল শিল্পীই তার জীবনের সোনালী সময়টি ব্যয় করেন শিল্পের জন্য নিবেদিত হয়ে। সকল মানুষই মৌলিক ভাবে স্বাতন্ত্র প্রিয়। নিজের মৌলিকত্ব বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রত্যেকেই তাই নতুন কিছু করে।

ইতো পূর্বে রেশমি কাপড়ে কুরআন লিখা হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তের অবস্থান জানতে চেয়ে স্থানীয় স্কলার্সের সাথে পরামর্শ করেন। তাদের মতামত আমলে নিয়ে তিনি এ মহান কাজ শুরু করেন। এ মোবারক কাজের জন্য তিনি উন্নতমানের নীল রেশমি কাপড় সংগ্রহ করে সোনালী হরফে তিন বছরে কুরআন লেখার কাজটি শেষ করেন।

৩৩ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পী ৫০ মিটার নীল রেশমী কাপড় ও ১৫০০ মিলিলিটার কালি ব্যবহার করেছেন। এতে সময় লেগেছে ৩ বছর। তিনি যে সিল্ক শিটে কুরআন লিখেছেন তার পরিমাপ ২৯দ্ধ৩৩ সে.মি.।

তানজালে মুহাম্মদজাদে শিল্প ও ইতিহাস নিয়ে পড়ছেন তুরস্কের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিল্কের উপর কুরআন লিখা শেষ করার পর আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ রকম ব্যতিক্রমী ও সৃষ্টিশীল কর্ম সম্পন্ন করতে পারায় আমি সত্যি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।

আরও কৃতজ্ঞ এ কারণে, আমিই আজারাবাইজানের প্রথম নারী হিসেবে সিল্কের মধ্যে কুরআন লিখতে পেরেছি। সূত্র: লাইফ ইন সাউদি আরাবিয়া ডট নেট

মহান আল্লাহর অসীম কুদরত জমজম কূপের কিছু অজানা তথ্য

নবী কারিম রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জমজমের পানি যে যে নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই পানি রোগ মুক্তির জন্য পান কর, তা হলে আল্লাহ তোমাকে আ’রো’গ্য দান করবেন।

যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান কর, তা হলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন। যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তা পান কর, তা হলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন।

জমজম কূপের পানি যতই ব্যবহার করা হোক তা কখনও শেষ হয় না, হবেও না ইনশাআল্লাহ্‌। বর্তমানে প্রতিদিন মেশিনের মাধ্যমে লাখ লাখ লিটার পানি তোলা হচ্ছে, কিন্তু কোনো ঘাটতি পড়ছে না।

অথচ প্রতিদিন এ পরিমাণ পানি পৃথিবীর অন্য কোনো কূপ থেকে তুললে নিশ্চয়ই সে কূপের পানি শেষ হয়ে যেত। জমজমের পানি তৃষ্ণা মেটায় ও ক্ষুধা দূর করে। কোনো ওষুধ ব্যবহার করা ছাড়াই জমজমের পানি অনেক দিন বিশুদ্ধ অবস্থায় রাখা যায়। অথচ সাধারণ পানি অনেক দিন রাখলে খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে। (কিতাবুল মাসাইল ৩/২৫৩)

জমজম কূপের কিছু জানা অজানা তথ্য:

১) আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল জমজম কূপ।

২) ভারী ইলেক্ট্রিক মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনা কালের ন্যায়।

৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।

৪) সারা দিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।

৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমন কি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার কয়েক গুন বেড়ে যাওয়া স্বত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না। সুবাহান আল্লাহ।

৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুণ, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমাণে আছে।

৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমাণ অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমাণ বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবাণু জন্মায় না ।

১০) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

এটি জিবরাইল (আ.)-এর পায়ের গোড়ালির আ’ঘা’তে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে জম জম কূপ।’ (ইবনে মাজাহ ও আল-আজরাকি) জম জমের পানি দাড়িয়ে এবং তিন শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা’আন মিন কুল্লি দা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, প্রস্থ রিযিক এবং যাবতীয় রোহ থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি। (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায় ইবেনে আব্বাস)