প্রতিদিন খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন… (ইনশাআল্লাহ)

2363

পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই প্রতিদিন খেতে পারেন খেজুর।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

খেজুরের পুষ্টিগুণ: সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি র’ক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস।

তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর। আয়রনে ভরপুর খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ কাছেও ঘেঁষবে না।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে। আসুন জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা-

১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।

৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।

ছয়টি রোগ থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ!

মিষ্টি কুমড়া খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। খেতেও দারুণ সুস্বাদু। তবে মিষ্টি কুমড়া খেলেও এর বীজ নিশ্চয় ফেলে দেন? এখানেই হচ্ছে মারাত্মক ভুল। জানলে অবাক হবেন, মিষ্টি কুমড়ার মতো এর বীজেরও রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ।

মিষ্টি কুমড়া অনেক রোগের ওষুধ। আমাদের দেহের মারাত্মক ছয় রোগ থেকে রক্ষা করে কুমড়ার বীজ। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দেয়ার মতো ভুলটি আর নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে-

বাতের ব্যথা

একটু বয়স বাড়লেই বাতের ব্যথায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। জানেন কি, এই ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ। ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। আর মিষ্টি কুমড়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হতে দেয় না।এভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথা কমিয়ে থাকে।

হাড়ক্ষয় রোধ

শরীরে জিংকের অভাব হচ্ছে হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উত্স হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ক্ষয় রোধ করে।

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়

মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক। যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।

লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ

লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন আছে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০% পূরণ হবে।

প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার

মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উত্পন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।

কোলেস্টেরল কমায়

খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উত্স হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। যার পরিমাণ ২৬৫ মিলিগ্রাম বা ১০০ গ্রাম। তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজ অবশ্যই খাওয়া উচিত।