
কাজু বাদামের উপকার – পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এতো বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন।



তবে একথাও ঠিক যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে এই বাদামটি খেলে কিন্তু শরীরের উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। কারণ উপকারি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে উল্টো ফল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে কাজু বাদাম, তাহলেই সুফল পাওয়া যাবে।
নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে ক্যা’ন্সা’র, হৃ’দ’রো’গ জনিত জটিলতা, স্থূলতা এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪টি বা ২৮ গ্রাম কাজু বাদামে ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন এবং ৯ গ্রাম মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়।
প্রতিদিন মাত্র ৪ টি করে কাজু বাদাম খেলে শরীরের যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. কাজু বাদাম শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। ভাল কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরের নানা জটিলতা বিশেষ করে হৃদরোগ , স্ট্রোক এবং ধমনী সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।



২. কাজু বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য এতে ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কও রয়েছে। কাজু বাদামে থাকা ভিটামিন ই মানসিক চাপ কমায়। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
৩. কাজু বাদামে উপস্থিত ভিটামিন ই এবং ম্যাঙ্গানিজ ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
৪. কাজু বাদামের খোসা প্রিবায়োটিকের দারুণ উৎস যা অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। এটি হজমশক্তিও বৃদ্ধি করে। এছাড়া ভাল ব্যাকটেরিয়া যেকোন ধরণের সংক্রমণ সারাতেও দারুণ ভূমিকা রাখে।



৫. যদিও কাজু বাদামে ফ্যাট এবং ক্যালরি আছে তারপরও এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কাজু বাদাম খেলে পেট ভরা অনুভূত হয় । তখন বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৬. গবেষণা বলছে, কাজু বাদামে থাকা ভিটামিন ই বয়সজনিত ভুলে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়।
ডিম আর দুধ একসঙ্গে খাওয়া কি ঠিক?
সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তার কথা বললে প্রথমেই মনে আসে একগ্লাস দুধ এবং ডিমের কথা। কিন্তু এই দুধ আর ডিম একসঙ্গে খাওয়া নিয়ে অনেকর মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকের মতে, ডিম আর দুধ এক সঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা কিংবা শরীর খারাপ হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।



পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন এবং ভাল ফ্যাট রয়েছে। অন্যদিকে দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম আছে। অতএব সিদ্ধ ডিম অথবা যেকোনভাবে রান্না ডিমের সঙ্গে দুধ খেলে কোনও সমস্যা হবে না।
দুধ খাওয়ার পর রান্না ডিম খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। তারপরও যদি এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি বা সমস্যা লাগে তাহলে এই খাবার খাওয়া তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দিতে হবে। কারণ কোন কোন খাবারের সংমিশ্রণ আপনার জন্য উপকারী আপনি নাও জানতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা আরও বলছেন, অনেকেই কাঁচা ডিম ও দুধ একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে ক্রীড়াবিদ এবং কুস্তিবীরদের মধ্যে যারা মাংসপেশী তৈরিতে বেশি মনোযোগী তারা এই কাজটি করেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।শরীরে বাড়তে পারে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা। সূত্র : এনডিটিভি…