একসাথে ইসলাম গ্রহণ করেছে ফিলিপাইনে প্রায় ২৫০ জন খ্রিষ্টান গ্রামবাসী !

6792

২৫০ জন একসাথে ইসলাম গ্রহণ- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। দেশটির একটি গ্রামে বসবাসরত সবাই এক সঙ্গে গ্রহণ করেছেন শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম ইসলাম।

পুরো গ্রামবাসী একসঙ্গে জড়ো হয়ে তাওহিদের কালিমা পড়ে মুসলমান হয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমি আইইআরএ এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসলামিক শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমির তথ্য মতে নভেম্বরের ১১ তারিখ তারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। মুসলিম স্বেচ্ছাসেবীদের একটি সংগঠন গ্রামবাসীদের ইসলামের দাওয়াত দিলে গ্রামের মানুষ একযোগে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

মুসলিম স্বেচ্ছাসেবীদের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টের একটি ভিডিওতে ইসলাম গ্রহণের এ দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে দেখা যায়, সব লোক শাহাদাত আঙুল উঁচিয়ে সমস্বরে তাওহিদের কালেমা পাঠ করছে।

ইসলামিক শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমি জানিয়েছে, তাদের দাঈ-রা ফিলিপাইনের ফিলিপিন্স প্রদেশ সেবুতে বানতান দ্বীপের মদিনা মসজিদে যায়। সেখানে তাদের দাওয়াতে একজন ইসলাম গ্রহণ করেন। তার নাম রাখা হয় আবু বকর।

পরে ইসলামের দাওয়াতে নিয়োজিত সে দলটি আবু বকরকে সঙ্গে নিয়ে বান্টায়ান দ্বীপের পাহাড়ি অঞ্চলে বেরিয়ে পড়ে এবং ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দেয়।

ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বান্টায়ান দ্বীপের পাড়াড়ি অঞ্চলের পুরো এক গ্রামের মানুষ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে এক সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করেন। সেখানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী প্রায় ২৫০ জন গ্রামবাসী উপস্থিত ছিল।

ইসলাম গ্রহণের আগে ইসলামের নানা দিক নিয়ে নওমুসলিম আবু বকর ও ঈসা খান এক আবেগঘন বক্তব্য দেন। অতঃপর গ্রামবাসীদের সবাই ইসলাম গ্রহণ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলে তাদেরকে এক সঙ্গে কালিমা পড়ানো হয়। ইসলামের আলোয় আলোকিত হলো ফিলিপাইনের পুরো একটি গ্রাম।

ইতালিতে নতুন করে প্রায় বিশ হাজার লোকের ইসলাম গ্রহণ!

গোটা ইউরোপে যখন ইসলাম আ”ত”ঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে তখন ইসলাম গ্রহণের হার কমেনি। সম্প্রতি ইউরোপে ইসলাম সর্ম্পকে মানুষের জানার আগ্রহ বাড়ছে। বাড়ছে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সালে ইতালির সাবেক একজন পার্লামেন্ট সদস্যর মেয়ের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছিল তোলপাড়। ম্যানুয়েলা ফ্রাংকো বারবাতো নামের এই তরুণীর এখন নতুন নাম আয়েশা।

ইসলাম গ্রহণের পর ইসলামের অনুশাসন তিনি মানছেন। পূর্ণাঙ্গ হিজাবী এই নারী ইতালির এক সাবেক এমপি ফ্রাংকো বারবাতোর মেয়ে। তিনি তার বাবার খ্রিষ্টধর্ম থেকে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন।

ম্যানুয়েলার এই ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এখন ইতালিতে আলোচনার বিষয়। খ্রিষ্টান উ”গ্র”প”ন্থী”রা কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন তার। সমালোচনা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তার বাবাও। ফ্রাংকো বারবাতোকে হাফিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার মেয়ে তো মুসলমান হয়ে গেল, এখন আপনার কেমন লাগছে?

তার উত্তর ছিল, ‘শুধু খারাপ না, খুবই খারাপ লাগছে। কারণ এটি একটি অত্যন্ত কঠোর ধর্ম, খুবই চ”র”ম”প”ন্থী, একদম সেকেলে! এই ধর্মটি মৌ”ল”বা”দী। আমার মেয়ে আমার সাথে থাকাবস্থায় আমি নিজে দেখেছি। প্রতিদিন দেখেছি নামাজের সময় হলে সে সন্তানের কথাও ভুলে যায়!

এজন্য আমি তার প্রতি রাগ করতাম। সে যা নিজের জন্য পছন্দ করেছে আমি তাতে খুবই ব্যাথিত।

তবে আয়েশা ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত, সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য আমি গর্বিত।

এসব আল্লাহর নিয়ম, আমার অভিযোগ করার কী আছে?’ নিজের হিজাব পরিধান নিয়ে চারপাশে যত কথা। তার উত্তরে আয়েশা বলেন, ‘হিজাব আমার জীবনের অংশ, যা আল্লাহ আমার জন্য পছন্দ করে দিয়েছেন।’

আয়েশা আগে বাবার সাথে থাকলেও প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার পর তার স্বামীকে নিয়ে ভারতে চলে গেছেন।

সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের গ্রাজুয়েশন করছেন। বিবাহিত জীবনে তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে। ইতালিতে ১৭ লাখ মুসলমানের বসবাস। ইতালীর সরকারি সংস্থার হিসাবে দেশটিতে প্রায় বিশ হাজার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

ইতালির এই চিত্র প্রমাণ করে ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ধর্ম হিসাবে ইসলামের প্রসার ঘটছে। হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে জুমবাংলানিউজ/এসওআর জার্মান ফুটবলার ওজিলের সঙ্গে এরদোগানের ইফতারের ছবি ভা’ই’রা’ল। আর্সেনালের জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলের সঙ্গে ইফতার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গেল শনিবার ইস্তানবুলে ইফতার করেন তারা।

এদিন অটোমান যুগের দলমাবাহাস রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ইফতার পার্টি হয়। এতে এরদোগানের টেবিলের একপাশে বসেন ওজিল ও তার বাগদত্তা এমিনে গুলসে। এ সময় হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় তাদের।

ইতিমধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। শিগগির বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ওজিল। দীর্ঘদিনের বান্ধবী গুলসের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধছেন তিনি। বহুল প্রতীক্ষিত এ বিয়েতে অতিথি হিসেবেও দেখা যেতে পারে এরদোগানকে। ইতিমধ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্টের হাতে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দিয়েছেন ওজিল ও গুলসে।

সবাই তুরস্কে ব্যাপক জনপ্রিয়। সেই ছবি নিয়েও সমালোচনা হয়। ওজিল জার্মানির হয়ে খেললেও জাতিতে তুর্কি। তার হবু স্ত্রীও তুর্কি বংশোদ্ভূত। পেশায় মডেল ও অভিনেত্রী গুলসে অবশ্য সুইডেনের নাগরিক।

গেল বছর বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ এনে জার্মান জাতীয় ফুটবল দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওজিল। এর নেপথ্যেও ছিলেন এরদোগান।

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। পরে এর একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন এ মিডফিল্ডার। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা।

ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু তাকে বিশ্বকাপের দলে রাখেন কোচ জোয়াকিম লো।

বিপত্তিটি বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের কাঁধে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃ”ণি”ত বার্তা হতে শুরু করে মৃ”ত্যু”র হুমকিও পান তিনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।