বাসাভাড়ার জন্য ২ মাসের বাচ্চাসহ পরিবারকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালী শম্পা !

1202

বর্তমানে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যাটাই বেশি। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মধ্যশ্রেনীর মানুষজন। অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না। তাই পরতে হচ্ছে বাড়িওয়ালাদের নাজেহালের মুখে। এমনই ঘটনা রাজধানীর কাঁঠালবাগানে।

কাঁঠালবাগানে এক মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি থাকায় দুই মাসের বাচ্চাসহ এক পরিবারকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। ওই বাড়িওয়ালার নাম শম্পা বেগম। কাঁঠাল বাগানের ৫৭/৭ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাড়িতে তিন শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন থাই গ্লাস ফিটিং মিস্ত্রি সেলিম মিয়া।

করোনার ম’হা’মা’রিতে হাতে কাজ না থাকায় দুই মাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারেননি তিনি। ভাড়া না দিতে পারায় সেলিম মিয়া ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে জোরপুর্বক বের করে দেন শম্পা বেগম।

বৈশাখের ঝড় ও বৃষ্টি থেকে দুই মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বাঁ’চা’তে সেলিম মিয়া থানায় যান। পুলিশের একটি দল সেলিম মিয়াকে বাসায় নিয়ে গেলে দরজা খোলেননি শম্পা বেগম। বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা। সেলিম মিয়ার পরিবারও আশ্রয় নেন সেখানে।

এ সময় শম্পার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত শম্পা নানা ভাবে হু’ম’কি দেন এবং জানান সেলিম মিয়ার পরিবার তাদের সব আসবাব ও অন্যান্য দ্রব্য ফেলে চলে গেছে।

কিন্ত এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানান শম্পার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি এই পরিবারটিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন এবং গেটে তালা দিয়ে রেখেছেন।

এ সময়, এলাকাবাসী জানায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের কিছু ব্যবসায়ী ও কাঁঠালবাগান এলাকায় শম্পা সুদের ব্যবসা চালান। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ সেলিমের দশ বছরে শিশুকন্যার অভিযোগ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময় তাকে একাধিক থাপ্পর দেন শম্পা।

ঝিনাইদহে নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘করোনা’

ম’হা’মা’রি করোনা’ভা’ইরাস নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে তোলপাড়। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃ’তে’র সংখ্যা। ঠিক এমন সময়ে পৃথিবীতে এলো নতুন অতিথি। সদ্য জন্ম নেওয়া সেই নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘করোনা’।

ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর এলাকার দম্পতি কুয়েত প্রবাসী সাদিক ও সালেহা। তাদের বিবাহের দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তাদের কোল জুড়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। মহা দুর্যোগের সময় জন্ম নেয়া কন্যা শিশুর নাম রাখা হয়েছে ‘করোনা’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই শিশুর করোনা নাম নিয়ে পোষ্ট দেয়। এটি আজ রবিবার ছড়িয়ে পড়লে বিস্মিত হন অনেকেই। মৃ’ত্যু’র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এমন নাম হতে পারে। আবার অনেকে প্রশংসাও করেছেন।

জানা যায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন সালেহা। এর কিছুক্ষণ পরই সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। তারপরই ওই সদ্য নবজাতকের নাম ‘করোনা’ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা।

নবজাতকের বাবা সাদিক জানান, ভাইরাসটি যে বিপজ্জনক, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বে অনেক মানুষকে মে’রে ফেলেছে এই ভা’ইরাস। আবার আমাদের মধ্যে অনেক ভালো অভ্যাসও তৈরি করেছে এই ভাইরাস।

তবে আ’ত’ঙ্কে’র মাঝেও অনেক ভালো কিছু সৃষ্টি হয়। তাই অযথা ভয় না পেয়ে নির্দেশ মেনে চললেই আমরা সুরক্ষিত থাকবো। আর ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে থাকবে আমাদের এ কন্যা। শিশু ও মা সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।