বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ বাংলাদেশের বগুড়ায় !

2461

পরিত্যক্ত একটি মসজিদ। ওপরে মাত্র একটি গম্বুজ। আছে ছোট আকৃতির একটি দরজা। ভেতরে মাত্র তিনজন মানুষের নামাজ পড়ার জায়গা আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এরচেয়ে ছোট মসজিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি। তাই অনেকের মতে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ।

বগুড়ার সান্তাহার থেকে ৩ কিলোমিটার ভেতরে তারাপুর নামের একটি গ্রাম। যেখানে দক্ষিণ পাড়ায় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে একটি মসজিদ।

যে মসজিদের ওপরে মাত্র একটি গম্বুজ। আছে ছোট আকৃতির একটি দরজা। ভেতরে মাত্র তিনজন মানুষের নামাজ পড়ার জায়গা। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এরচেয়ে ছোট মসজিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি। তাই অনেকের মতে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ।

লম্বায় এই মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট আর প্রস্থ ৮ ফুট, দৈর্ঘ্য ৮ ফুট। এর দরজার উচ্চতা ৪ ফুট আর চওড়া দেড় ফুট। একজন মানুষ অনায়াসে সেখানে ঢুকতে বা বের হতে পারেন। একটি গুম্বুজ আছে, যেটা অনেকটাই উঁচুতে।

‘নামহীন’ এই মসজিদটির দেয়ালের পুরুত্ব দেড় ফুট। তবে যে ইটগুলো মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো অর্ধেক ভাঙা। এছাড়া মসজিদের দরজায় দুটি রাজকীয় নিদের্শনার আদলে নির্মিত খিলান রয়েছে। এই মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বেশ কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনা সবচেয়ে প্রচলিত।

জানা যায়, সান্তাহারের ছাতিয়ানে ছিল রানি ভবানীর বাবার বাড়ি। আর সান্তাহারের আশেপাশেসহ তারাপুরও রানি ভবানীর বাবার রাজত্ব ছিল। তারই অংশ হিসেবে রানি ভবানীর আসা-যাওয়া ছিল এই গ্রামে। একজন মুসলমান মহিলা এই গ্রামে ছিলেন, যিনি পরহেজগার।

হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে ওই মহিলার নামাজ পড়ায় অনেক অসুবিধা হতো। রানি ভবানী এমন কথা জানতে পেরে তিনি নিজেই এই গ্রামে চলে আসেন আর সেই মহিলাকে যেন কেউ তার নামাজে অসুবিধা না করতে পারে সেজন্য পেয়াদাদের হুকুম দেন রাজকীয় নকশায় একটি মসজিদ তৈরি করে দেয়ার।

বিশ্বনবিকে নামাজে যে দোয়া করতে বলেছেন আল্লাহ্‌ …

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভালো কাজ করতে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। আবার চরম ফেতনার সময় যেন আল্লাহ তাআলা তাকে ফেতনামুক্ত অবস্থায় তার কাছে ওঠিয়ে নেন।

আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাজ পড়ার পর তার কাছে এ দোয়া করতে বলেছেন।

হাদিসে এসেছে-

কাফফারাত হলো- নামাজের পর মসজিদে অবস্থান করা, পায়ে হেঁটে জামাআতে হাজির হওয়া, কষ্টের সময়ও পরিপূর্ণভাবে পূর্ণাঙ্গ অজু করা। যে ব্যক্তি এটা করবে সে কল্যাণের সাথে বাঁচবে এবং কল্যাণের সাথে মৃত্যুবরণ করবে।

আর সে তার গোনাহ থেকে সে দিনের মতো পাক পবিত্র হয়ে যাবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।অতঃপর আল্লাহ তাআলা বললেন, হে মুহাম্মদ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই নামাজ পড়বেন, তখনই এ দোয়া পড়বেন-


اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَ تَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَ حُبَّ الْمَسَاكِيْنِ فَاِذَا اَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِىْ اِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফে’লাল খায়রাতি ওয়া তার্কাল মুংকারাতি ওয়া হুব্বাল মাসাকিনি ফা-ইজা আরাদতা বি-ইবাদিকা ফিতনাতা ফা-আক্ববিদনি ইলাইকা গাইরা মাফতুনিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি ভালো কাজ করতে, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং দারিদ্রদের ভালোবাসার। সুতরাংহে আল্লাহ! যখন তুমি তোমার বান্দাদেরকে ফেতনা-ফাসাদ ও বির্যয়ে ফেলতে চাইবে, তখন আমাকে ফেতনামুক্ত রেখে তোমার কাছে ওঠিয়ে নেবে।