ভিক্ষার টাকা দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন প্রতিবন্ধী রেজাউল !

5778

দরিদ্র হলেও মনটা অনেক বড় – দু’র্ঘ’ট’না’য় পা হারানো শারীরিক প্র’তি’ব’ন্ধী মো. রেজাউল হক (৪০) পেশায় একজন ভি’ক্ষু’ক। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভি’ক্ষা’বৃ’ত্তি করেই চলে তার সংসার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন নগরের বায়েজিদ বোস্তামীতে। সম্প্রতি তিনি তার গত কয়েক মাসের ভি’ক্ষা’র টাকা এলাকার দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।

জানা গেছে, যে কলোনিতে রেজাউল থাকেন সেখানকার সবাই পেশায় হয়তো রিকশাচালক, নয়তো দিনমজুর। সব বন্ধ থাকায় তাদেরও উপার্জন বন্ধ। তাদের ওখানে ক্রাণ না পৌঁছানোতে থাকতে হয় অনাহারে, অর্ধাহারে। প্রতিবেশীর এ কষ্ট সহ্য হয়নি রেজাউলের।

আর তাই রেজাউল নিজের কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা নিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। নিজের জমানো টাকা দিয়ে ৬০ জন প্রতিবেশীকে ৪ এপ্রিল রেজাউল নিজ হাতে তুলে দেন ত্রাণ।

ত্রাণের মধ্যে ছিলো ৪ কেজি চাল, ১ কেজি আলু ও একটি সাবান। এদিকে ত্রাণ পেয়ে খুশি পুরো কলোনির মানুষ। একজন ভি’ক্ষু’ক হয়ে প্রতিবেশীদের ত্রাণ বিতরণে এলাকায়ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, রেজাউলের গ্রামের বাড়ি রংপুরের লালমনিরহাট জেলায়। ৯ বছর আগে চট্টগ্রামে এসেছিলেন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে। কিন্তু দু’র্ঘ’ট’না’য় পা হারিয়ে পেটের দায়ে ভি’ক্ষা করতে বাধ্য হন। প্রতিবেশীদের মতে, রেজাউল দরিদ্র হলেও মনটা অনেক বড়।

বাংলাদেশে তৈরি করোনার ওষুধ, দাম ৬ হাজার টাকা

এবার করোনা প্রতিরোধের ওষুধ রেমডিসিভির বানাচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক বেক্সিমকো। এ নিয়ে রয়টার্সের সূত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বেক্সিমকোকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ওষুধ কোম্পানি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, এ মাসেই করোনার পরীক্ষামূলক এন্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির উৎপাদনে যাচ্ছে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার (৫ মে) বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন কোম্পানি গিলিড সায়েন্সেস কোম্পানির বানানো এই ওষুধ করোনা পরিস্থিতিতে বেশ সাড়া ফেলে।

এ নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন গত সপ্তাহে করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডিসিভিরকে অনুমোদন দেয়। রাব্বুর রেজা জানান, তাদের উৎপাদিত রেমডিসিভিরের মূল্য হতে পারে এক ছোট শিশি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। করোনায় আ’ক্রা’ন্ত একজন রোগীর চিকিৎসায় ৫ থেকে ১১ শিশি রেমডিসিভির লাগতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের স্টাডি শেষ হলে বুঝতে পারব একজন রোগীর জন্য ঠিক কতটুকু ওষুধ প্রয়োজন হবে। বেক্সিমকোর এই কর্মকর্তা আশা করেন, ওষুধটির দাম আরও কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারকে তারা পাশে পাবেন। এই মাসে উৎপাদন শুরু হওয়া ওষুধগুলো প্রাথমিকভাবে দেশীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ছাড়া হবে বলে তিনি জানান।