ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা

1769

সকালটা সুন্দর হলে নাকি দিনটা ভালো যায়। আবার সকালের শুরুটা যদি বাজে হয় তাহলে পুরো দিনটাও আপনার খারাপ যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেহ-মন সতেজ থাকে। এ ছাড়া কাজ করার জন্য সারা দিন প্রচুর সময় পাবেন আপনি। ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ’। ছেলেবেলা থেকে বাবা-মা এটাই শিখিয়ে এসেছেন। আজও তারা বলে থাকেন, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়তে। বিখ্যাত মনীষী ব্রেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন বলতেন, ভোরের মুখে সোনা রঙ থাকে। যারা রোজ সকালে ওঠেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন এর উপকারিতা।

১) সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময়টা কাজে লাগাতে পারা যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন, তারা অনেক বেশি এনার্জিটিক হন। যে কোন কাজ করতে খুব কম সময় নেন তারা। শুধু তাই নয়, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, পরিকল্পনা করতে এবং লক্ষ্যে পৌঁছতে তারাই সেরা হন।

২) সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার সবথেকে ভালো উপকারিতা হল, চিন্তামুক্তি। যখন আমরা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি, তখন সূর্যের নরম আলোয় আমাদের মাথা থেকে সব চিন্তা দূর হয়ে যায়। একটা পজেটিভ এনার্জি মনে কাজ করে। ফলে সারাদিনের সমস্ত কাজকর্ম সফল হয়।

৩) সকালে তখনই তাড়াতাড়ি ওঠা যায়, যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতেও যাওয়া যায়। একদিন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া আর একদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে চলবে না। এই নিয়ম নিয়মিত বজায় রাখতে হবে। তবেই আপনার ঘুম ভালো হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।

৪) টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ একটি সমীক্ষা করেন। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে, তারা পড়াশোনায় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো হয় এবং তাদের পরীক্ষার ফলাফলও ভালো হয়।

কিডনি ও পিত্তথলির পাথর গলবে একটি ডিমেই !

কোয়েলের ডিম ওষুধ হিসেবে বেশ কার্যকরী। বিভিন্ন প্রকার রো’গ দাওয়াই এই পাখির ডিম। যেমন- হার্ট, অতিরিক্ত ওজন, দুর্বলতা, পাকস্থলীর অসুখসহ ফুসফুসের রো’গ সারায় এই ডিম। এছাড়াও স্মৃতিশ’ক্তি হ্রাস, র’ক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, পুরুষত্বহীনতা এবং উচ্চ কলোস্ট্ররেল ইত্যাদি রো’গও কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া নিরাময় হয়।

কেন কোয়েল পাখির ডিম খাবেন?

১. কোয়েলের ডিম সর্দি ও কাশির বিরুদ্ধে কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যালার্জি প্র’তি’রো’ধ’কারী উপাদান। গবেষণায় দেখা যায়, কোয়েলের কাঁচা ডিম অ্যালার্জির লক্ষণ ও মাত্রা উভয়ই কমিয়ে দিতে পারে।

২. কোয়েলের ডিমের অ্যালার্জি প্র’তি’রো’ধ’কারী উপাদান হাঁপানির বি’রু’দ্ধেও কাজ করে। ধুলো-বালির জী’বা’ণুতে আ’ক্রা’ন্ত ১৮০ জন হাঁপানি আ’ক্রা’ন্ত শিশু নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কোয়েল পাখির ডিম খেয়েছে তাদের হাঁপানির তী’ব্র’তা ও অস্থিরতা উল্লেখযোগ্য হারে কম।

৩. কোয়েলের ডিমের সাদা অংশে লাইসিন-৮ নামে এক ধরণের অ্যামিনো অ্যা’সি’ড থাকে। ত্বকে কোলাজেন গঠনে লাইসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও আমাদের শরীর এ ধরণের অ্যামিনো অ্যা’সি’ড তৈরি করে না। তাই এর ঘাটতি পূরণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া প্রয়োজন।

৪. এই ডিম ভিটামিন ‘এ’ এর ভালো উৎস। যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভিটামিন ‘এ’ অল্প আলোয় চোখকে দেখতে সাহায্য করে ও অন্ধত্ব প্র’তি’রো’ধ করে।

৫. ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ অনুযায়ী, কোয়েলের ডিম বয়সের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। কোয়েলের ডিমে কোলিন নামে এক ধরণের পুষ্টি থাকে যা ম’স্তি’ষ্ক তী’ক্ষ্ম রাখে, বিশেষত বয়স বাড়ার ব্যাপারে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য ভালো। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য প্র’তি’রো’ধ করে।

৬. ডায়াবেটিস একটি বি’প’জ্জ’নক অবস্থা যা কেবল বাড়তেই থাকে। ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে, খাবার তালিকায় কোয়েলের ডিমের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা হয়।

৭. মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১ দশমিক ৪ শতাংশ আর মুরগির ডিমে ৪ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশি।

৮. কোয়েলের ডিম কিডনি, লিভার এবং পিত্তথলির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এই ডিম কিডনির পাথরের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং সিস্টগুলো ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে। এই ডিম লেসিথিন সমৃদ্ধ। যা কিডনি বা পিত্তথলির পাথর ভা’ঙ্গ’তে সহায়তা করে।

কোন বয়সে কয়টি ডিম?

১-৭ বৎসর পর্যন্ত বয়সের ক্ষেত্রে দিনে ২/৩ টা করে কোয়েলের ডিম ২০/৩০ দিন খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

৮-১০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ টা করে কোয়েলের ডিম নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

১১-১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ টা করে ১ মাস খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

১৬-১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ২৬ দিনে ১২০ টা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৪৯ দিনে ২৪৯ টা কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

সতর্কতা–

কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। কিন্তু এটি অতি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল সম্পন্ন। ১০০ গ্রাম কোয়েলের ডিমে ৮৪৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। যা মুরগির ডিমের চেয়েও বেশি মাত্রার কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অথবা যদি কোলেস্টেরল জনিত সমস্যা থাকে তাহলে কোয়েল পাখির দিন এড়িয়ে চলতে পারেন।