পানি বাঁচাতে উট হ’ত্যা করা অস্ট্রেলিয়ায় এখন আকস্মিক বন্যা !

6799

ভয়াবহ দাবানলের পর এবার আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে দেশটির ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ভিক্টোরিয়ার উপকূলে ফ্রেঞ্চ দ্বীপে দা’বা’ন’ল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সেখান থেকে নিরাপত্তার কারণে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলে যেতে বলা হয়েছে।

রাজ্যগুলোর ফা’য়া’র সার্ভিস অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে দাবানল মোকাবেলায় সুবিধা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় দাবানল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং আবহাওয়া আগের তুলনায কিছুটা অনুকূলে আছে।

তবে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ের কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসের বেশ কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার থেকে রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল।

স্থানীয় ফা’য়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আ’গু’নে জ্বলতে থাকা বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে বৃষ্টির দেখা মিলেনি। ফলে ওই এলাকাগুলোতে দাবানল এখনও আগের অবস্থায়ই রয়েছে।

তীব্র গরমে কয়েক মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি এসেছিল।

কিন্তু ভারী বর্ষণে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুইন্সল্যান্ডে।

সেখানে কয়েকটি স্থানে পানি বেড়ে বেশ কিছু মহাসড়ক ও আবাসিক এলাকা তলিয়ে গেছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে ওইসব ঘটনায় কোনো হ’তাহ’তের খবর পাওয়া যায়নি।

এই রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হলেও দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এখনও দাবানলের আ’গু’নে পুড়ছে। গত চার মাস ধরে চলমান দাবানলে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মা’রা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় ২৪ মুসল্লির মৃ’ত্যু

গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার শেষ হচ্ছে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত দুই পর্বের এই ইজতেমায় সড়ক দু’র্ঘ’ট’না, বা’র্ধ’ক্য ও অ’সু’স্থ’তা’জনিত কারণে এখন পর্যন্ত ২৪ জন মুসল্লির মৃ’ত্যু হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন….

তবে, ইজেতমার দুই পর্বে ২৪ জন মুসল্লির মৃ’ত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার কন্ট্রোল রুমে মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মনজুর রহমান। এদের মধ্যে কেউ সড়ক দু’র্ঘ’ট’না, বা’র্ধ’ক্য ও অ’সু’স্থ’তাজনিত কারণে তাদের মৃ’ত্যু হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি মা’রা যান সিরাজগঞ্জের খোকা মিয়া। পরের দিন ১০ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে বা’র্ধ’ক্য’জনিত কারণে মা’রা যান চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আলী, একই দিন রাজশাহীর চারঘাটের তমিজউদ্দিনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক মা’রা যান।

শনিবার, ১১ জানুয়ারি- রাত পৌনে ২টার দিকে মা’রা যান কুমিল্লার বিংলাবাড়ি গ্রামের মৃ’ত আবদুস সোবহানের ছেলে তমিজউদ্দিন, একই দিন ভোর ৪টার দিকে মা’রা গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহজাহান।

ভোর ৬টার দিকে মা’রা যান নারায়ণগঞ্জের ইউসুফ মেম্বার, হাতেম আলীর ছেলে মো. আলী আজগর বয়াতী, চট্টগ্রামের ইয়াকুব আলী, নওগার শহীদুল ইসলাম। এ ছাড়া একই দিন সড়ক দু’র্ঘ’ট’নায় মা’রা যান নেত্রকোনার মো, মাজহারুল ইসলাম।

রোববার, ১২ জানুয়ারি- রাত ৩টার দিকে জয়পুরহাটের হাতখোলা গ্রামের আব্দুল মমিন, সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ধলিয়া বাজার গ্রামের পীরবক্সের ছেলে নূর ইসলাম, কক্সবাজার জেলার করাচিপাড়া গ্রামের মসন আলীর ছেলে ওলি আহমেদ ও শেরপুর জেলার চরশেরপুর গ্রামের ময়েজ আলীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম মা’রা গেছেন।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারি- রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাভার্ডভ্যান চা’পা’য় মা’রা যান নরসিংদীর বিরবাগ মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সুরুজ মিয়া মা’রা যান।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি- রাত আড়াইটার দিকে গাইবান্ধা জেলার টেংরাকান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে গোলজার হোসেন ট্রেন দু’র্ঘ’ট’নায় মা’রা যান। একই দিন সুনামগঞ্জের চাঁনপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলাউদ্দিন বা’র্ধ’ক্য’জনিত কারণে মা’রা যান। একই দিন মা’রা যান ঢাকার নলকোগ এলাকার ফজলু মিয়ার ছেলে ইলিয়াস মিয়া।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি- রাত দেড়টার দিকে শ্বা’স’ক’ষ্ট’জনিত রো’গে মা’রা গেছেন রংপুরের ওসমানপুর গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে হুমায়ুন কবীর, রাত ২টার দিকে স্ট্রো’কে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা যান ঝিনাইদহের কালাহাট গোপালপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আফম জহুরুল আলম।

এ ছাড়া বা’র্ধ’ক্য’জ’নি’ত কারণে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে গাইবান্ধা জেলার কামালের হাট গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবদুস সোবহান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মা’রা যান নোয়াখালীর আজিমনগর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মনির উদ্দিন, রাত ১০টার দিকে হার্ট অ্যা’টা’কে মা’রা যান চুয়াডাঙ্গার খাদিমপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ফজলুল হক।

গতকাল রোববার, ১৯ জানুয়ারি হার্ট অ্যা’টা’কে মা’রা যান গাইবান্ধা জেলার চাঁদপাড়া দুর্গাদাহ গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. শাহ আলম।