মাত্র ৪৯ দিনেই পবিত্র কুরআনের হাফেজ এই বিস্ময় বালক !

1767

কুমিল্লার বিস্ময় বালক- মাত্র ৪৯ দিনে কোরআনের হাফেজ হলো ৯ বছরের এক শিশু। তার নাম রাফসান। কুমিল্লা শহরের ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিফজ বিভাগ থেকে সে এ কীর্তি গড়েছে। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার উদ্দিনের ছেলে রাফসান।

শনিবার রাতে রাফসানের হিফজ বিভাগের শিক্ষক জামাল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধা সাধারণের চাইতে অনেক বেশি। রাফসান ৪৯ দিনে কোরানের ৩০ পারাই মুখস্ত করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরের ২ তারিখে রাফসানকে কোরআন শরিফের ৩০ তম পারা মুখস্ত করতে দেই। দিন শেষে রাফসান গড়গড় করে ৩০তম পারাটি মুখস্ত বলে দেয়। এতে অবাক হলেও হয়ত আগে থেকেই পারাটি তার মুখস্ত ছিল ভেবে পরের দিন আবার তাকে প্রথম পারা মুখস্ত করতে দেই।

একইভাবে সে দ্রুত ওই পারাটিও সবক দিয়ে দেয়। এভাবে কোরআনের পাঁচটি পারা কয়েক দিনের মধ্যে মুখস্ত করে দিলে আমরা নিশ্চিত হই যে রাফসান আর সব শিশু থেকে আলাদা। তার মুখস্তবিদ্যা প্রখর।

এভাবে প্রতিদিনই এক পারা করে মুখস্ত করে যেতে থাকে ও পেছনের আয়াতগুলো ঝালিয়ে নিতে থাকে রাফসান। রাফসানের এখন পুরো কোরআন শুনানি চলছে বলে জানান শিক্ষক জামাল উদ্দিন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফসানের মা শাহিনা আক্তার ২০১৭ সালে ছেলেকে নুরানি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করে। এক বছর রাফসান প্রথম শ্রেণির বই পড়ার সঙ্গে দেখে দেখে কোরআন পড়া শেষ করে।

এর পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তাকে একই বিদ্যালয়ের হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন জুয়াইরিয়া নামের এক পাকিস্তানি তরুণী।

লাহোরের গাজিয়াবাদ কলেজের ছাত্রী জুয়াইরিয়া কলেজ ছুটির ফাঁকে কোরআন মুখস্থ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।

দা”ফ”নে”র ১৩ বছর পরও অক্ষত কোরআনে হাফেজের লা’’শ!

২০০৪ সালে কিডনি রোগে আ”ক্রা”ন্ত হয়ে কুমিল্লায় মা”রা যান এক কোরআনে হাফেজ। ইসলামী রীতি মেনে দা”ফ”ন”ও করা হয় তাকে।

কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পর অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে সেই হাফেজের ম”র”দে”হ। এমনটাই জানিয়েছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের খানাতুয়া গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা যায়, ওই কোরআনে হাফেজের নাম মোহাম্মদ মাসুদ, ১৩ বছর বয়সে কিডনি রোগে আ”ক্রা”ন্ত হয়ে মা”রা যায়। তিনি খানাতুয়া গ্রামের মৃ”ত মোখলেছুর রহমানের পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে কোরআনে হাফেজ মোহাম্মদ মাসুদ ১৩ বছর বয়সে কিডনি রোগে আ”ক্রা”ন্ত হয়ে মা”রা যায়।

ওই সময় চারদিকে বন্যার পানি বেশি থাকায় তাকে গ্রামের বিরার পুকুর পাড়ে দা”ফ”ন করা হয়। দা”ফ”নে”র দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত ১৪ মে পুকুর পাড়ের মাটি ভেঙে মাসুদের লা”শ”টি পুকুরে পড়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে লা”শ”টি পানি থেকে উঠায়। ১৩ বছর পরও কা”প”নে”র কাপড় অক্ষত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে এলাকাবাসী পারিবারিক কবরস্থানে তার লা”শ”টি পুনরায় দা”ফ”ন করে।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দূরদূরান্ত থেকে মানুষ মাসুদের ক’ব’র দেখতে খানাতুয়া গ্রামে ভিড় করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও লা”শে”র ছবি পোস্ট করে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহ্ আলম জানান, আমরা লা”শ”টি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে পুনরায় দা”ফ”ন করি। ১৩ বছর পরও কা’প’নে’র কাপড় একেবারে অক্ষত দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। মৈশাতুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি সত্যি একটি অ’লৌ’কি’ক ঘটনা।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান জানান, ”যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকার কথা ছিল ওই মাটিতে সম্ভবত তা ছিল না। এমনকি একটি লা”শ দা”ফ”নে”র সময় যদি কোন প্রকার অতিরিক্ত মেডিসিন বা কেমিকেল ব্যবহার করে থাকে, তাহলে পোকামাকড় আ’ক্র’ম’ণ করতে পারে না। এতে ওই লা”শ একশত বছরও অক্ষত থাকা সম্ভব। ”