
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ও মধুময় ডাক – “মাগো কোনোদিন বুঝিনি তুমি কতখানি জুড়ে ছিলে
বুঝিনি আমার জীবনে তুমি কতখানি ছিলে দামী
বুঝেছি তোমার স্নেহকে আজ মা, মেয়ের দিকে চেয়ে
স্নেহ যে নিম্নগামী এবং মমতাও নিম্নগামী”



আমরা হয়তো অনেকেই জানি, মাকড়সার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। মা মাকড়সা সেই ডিম নিজের দেহে বহন করে বাচ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত।
প্রকৃতির নিয়মে এক সময় ডিম ফুটতে শুরু করে। নতুন প্রাণের স্পন্দন দেখা যায় ডিমের ভেতর। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। কিন্তু খাদ্য কোথায়? ক্ষুধার জ্বা’লা’য় ছোট ছোট মাকড়সার বাচ্চা মায়ের দেহই খেতে শুরু করে ঠুকরে ঠুকরে।



সন্তানের মুখ চেয়ে মা নিরবে হজম করে সব ক’ষ্ট-য’ন্ত্র’ণা। এক সময় মায়ের পুরো দেহই চলে যায় সন্তানদের পেটে। মৃ”ত মা পড়ে থাকে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে, সন্তান নতুন পৃথিবীর দিকে হাঁটতে থাকে। এ হলো মাকড়সা মায়ের আ’ত্ম’ত্যা’গে’র কাহিনী।
আসলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ও মধুময় ডাক হলো মা। মা, মা, এবং মা। প্রিয় এবং মূল্যবান শব্দ একটিই এবং একটিই মাত্র। শুধু প্রিয় শব্দই নয়, প্রিয় বচন- মা। প্রিয় অনুভূতি- মা। প্রিয় ব্যক্তি- মা। প্রিয় দেখাশোনা- মা।



প্রিয় রান্না- মা। প্রিয় আদর- মা। সব ‘প্রিয়’গুলোই শুধুমাত্র মা’কে কেন্দ্র করেই সব প্রিয় স্মৃতি। কারণ মা-ই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা নিঃশর্ত ভালোবাসা দিয়েই যায় তার সন্তানকে কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া।
পৃথিবীটা অনেক কঠিন, সবাই সবাইকে ছেড়ে যায়, সবাই সবাইকে ভুলে যায়, শুধু একজন যে ছেড়ে যায় না ভুলেও যায় না। আর সারা জীবন থাকবে। সে মানুষটি হচ্ছে মা।
মায়ের কোল যে কত বড় জিনিস তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না। শত চিন্তা শত কষ্ট আপনার মাথায়, একবার মায়ের কোলে মাথা রাখেন দেখবেন সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে।



জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছে! আসলে কোনো উপমাই মায়ের জন্য যথেষ্ট নয়। কোনো কিছুর তুলনা হতে পারে না মা। মা তো মা-ই।
মায়ের গর্ভে সন্তান যেমন র’ক্ত চুষে নিরাপদে ধীরে ধীরে বড় হয়, তেমনি জন্মের পরও তিল তিল করে মা-ই কেবল তার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে তিলে তিলে বড় করে তোলেন আগামীর সম্ভাবনাময় একজন মানুষ হিসেবে।
জীবনের চরম সং’ক’ট’কা’লে পরম সান্ত্বনার স্থল হিসেবে যার কথা প্রথম মনে পড়ে তিনি মমতাময়ী মা। মা প্রথম পৃথিবীর রং-রূপ-শব্দ-গন্ধ চেনান-দেখান-শেখান।



সেই মাকে আমরা অনেক সময় জেনে শুনে কষ্ট দিয়ে থাকি। সন্তানেরা ধাঁরালো চা’কু’র মতো, তারা না চাইলেও মায়েদের কষ্ট দেয় আর মায়েরা তাদের শেষ র’ক্ত’বি’ন্দু পর্যন্ত সন্তানের পাশে থাকে।
জগতে যার মা জীবিত নেই সেই বুঝে তার জীবন থেকে সে কি হারিয়েছে। যার ‘মা’ নেই সে বুঝে জীবনের ব্যথা।
প্রবাসীর ঘরে ২ শিশু সন্তান রেখে বখাটের হাত ধরে মা উধাও
ঘরে দুই নাবালক সন্তান রেখে এক ব’খা’টে’র হাত ধরে উধাও হয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুই সন্তান লিমা ও লিমন দিনরাত কেঁদেই চলছে মায়ের জন্য।



ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ঘাগা তালসার গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, গ্রামের জাহাঙ্গীর মন্ডল দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশে থাকেন।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী হাসিনা খাতুনের (২৮) সাথে সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের নেবুতলা গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে ওমর সানী সোহাগ (৩০) মিথ্যা ভাই-বোন সম্পর্ক গড়ে তুলে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
মোবাইলে চলতে থাকে তাদের প্রেম। এক পর্যায়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।



ওমর সানি সোহাগ এলকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত এবং সে আগে বিয়ে করেছিল। তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
স্বামীর ঘর ছাড়া হাসিনার ভাই জলিল মিয়া জানান, নেবুতলা গ্রামের ওমরসানী সোহাগ তার বোনকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় হাসিনা এক লাখ টাকা ও তিন ভরি গহনা নিয়ে গেছে। তার দুইটি শিশু সন্তান মায়ের জন্য শুধুই কান্নাকাটি করছে।
হাসিনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, আমি প্রবাসে থকার সুযোগে সোহাগ আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।



নবুতলা গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, সোহাগের আগের স্ত্রী চলে যাওয়ায় সে অন্যের স্ত্রী ভাগিয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সোহাগের মা জানান, আমার ছেলে হাসিনাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর বাসায়ও নিয়ে আসে। এখন কোথায় আছে জানি না।
ঝিনাইদহ সদর থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ দিতে বলেছে। অভিযোগ পেলে হাসিনা-ওমরসানি ঝিনাইদহ সদর থানার মধ্যে থাকলে নাবালক দুই সন্তানের জন্য পুলিশ সহায়তা করবেন বলে জানান।