
প্রাকৃতিকভাবেই মধু নানা গুণের অধিকারী। এর রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতাও। আর শীতে শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়তা করে মধু। কেননা মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী একটি খাদ্য। দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে উষ্ণতা বাড়ায় মধু। তাই মধু খেলে শীত আপনাকে কাবু করতে পারবে না।



এছাড়া মধু ভালো শক্তি উৎপাদক একটি খাদ্য বলা হয়। ত্বক থেকে শুরু করে খাদ্যগুনে কোথায় নেই মধুর উপকারিতা? দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে উষ্ণতা বাড়ায় মধু।
চলুন জেনে নেয়া যাক মধু যে উপকারগুলো সম্পর্কে…
শীতকালে মানুষ সবচেয়ে যে বেশি ঝামেলায় ভোগেন তা হল সর্দি, কাশি। কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কমবে কাশির প্রকোপ। প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত আরোগ্য হবে খুসখুসে কাশির সমস্যা।



শীতে পো’ড়া ও কা’টা’ছে’ড়া সহজে ভাল করতে মধুর জুড়ি নেই। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ক্ষ’ত, পো’ড়া ও কা’টা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পু’ড়ে বা কে’টে গেলে ক্ষ’ত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্য’থা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে।
অন্যদিকে শীতে পিঠা-পায়েশের সঙ্গে নানা খাবারের স্বাদ নিতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণও যায় বেড়ে। তখন অনেকের হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।



শীত সবচেয়ে বেশি ক্ষ’তি করে ত্বকের। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা ছ’ত্রা’ক ও অন্যান্য কারণে ক্ষ’তিগ্রস্থ ত্বককে দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আ’ক্রা’ন্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ক্ষ’তস্থানে ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডায় আরেকটা প্রধান সমস্যা শ্বাসপ্রশ্বাসের।
এ রকম সমস্যায় মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কার্যকরী। চা কিংবা উষ্ণ পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাবেন। শীতে ঠোঁট ফাটা থেকেও রেহাই পেতে মধু কার্যকরী। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধুর প্রলেপ লাগালে ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক দূর করতে সহায়তা করে। এর ফলে ঠোঁট থাকে নরম, তখন ফে’টে যাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকে না। আবার ঠোঁটের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পায়।



দীর্ঘদিন কম্বল ভালো রাখার উপায়
প্রতি বছর শীত এলে হয়তো কম্বল কিনে থাকেন দেশের প্রতিটা মানুষ। তবে বছরের পর বছর কম্বল আরামদায়ক রাখতে কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন। কারণ শীতে কম্বল খুবই আরামদায়ক। কম্বলের পরিচর্চা না করলে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই পাঠকদের জন্য কিছু পদ্ধতি দেয়া হলো, যেভাবে যত্ন নিলে দীর্ঘদিন কম্বল থাকবে আরামদায়ক।
শীতে মাঝে মাঝেই আলো-বাতাসে মেলে দিন কম্বল। খুব ভালো হয়, যদি শুকনো কম্বল ঝুলিয়ে রেখে ভালো করে ঝাড়তে পারেন। এতে সহজেই ধুলো চলে যায়। পুরনো ব্রাশ দিয়ে কম্বল ব্রাশ করতে থাকুন। পরিষ্কার জায়গায় কম্বল বিছিয়ে একই দিকে ব্রাশ করবেন। তা হলে কম্বলে আটকে থাকা ধুলো বেরিয়ে যাবে। কম্বলে দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন।



দাগ তোলার জন্য সরাসরি যে কোনো সাবান ব্যবহার করবেন না। ঠাণ্ডা পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, ক্লাব সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। নিতান্ত ময়লা না হলে কম্বল চট পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করবেন না। আর পরিষ্কার করতে হলে কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াশিং মেশিনে কম্বল পরিষ্কার করুন।
গরম পানি একদমই দেবেন না। ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে ভিজে কম্বল শোকাতে দেয়ার আগে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রাখুন। এতে বাড়তি পানি শুষে নেবে। ড্রায়ারের বদলে কম্বল শুকিয়ে নিন বাতাসে। ড্রায়ারে ক্ষ’তি হয় কম্বলের তন্তুর। তবে কড়া রোদে সরাসরি ভিজে কম্বল শোকাতে দেবেন না। শীতের পরে বছরের বাকি সময় যেখানে কম্বল রাখেন, সেখানে কয়েকটা নিমপাতা ছড়িয়ে রাখুন।