শখের প্রাইভেট কার বিক্রি করে ১৪ হাজার শিশুকে ঈদের জামা দিচ্ছেন !

1598

করোনার কারণে কর্মহীন পরিবারের ১৪ হাজার শিশু ঈদের নতুন জামা পাচ্ছে। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে নাহারুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী তার শখের প্রাইভেট কার বিক্রি করেছেন। তাকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আব্দুল মান্নান আকন্দ নামের আরও একজন।

শনিবার প্রথম দফায় বগুড়া সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) ১৪২ জন নিবাসি শিশুর মধ্যে নতুন জামা বিতরণ করে এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সমাজ সেবক আব্দুল মান্নান আকন্দের অনুপ্রেরণায় ব্যবসায়ী নাহারুল ইসলাম তার এক্স-করোলা সাদা রঙের কার সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আর ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দ তার ব্যবসার লভ্যাংশ থেকে বাকি টাকা দিয়ে ১৪ হাজার শিশুর জন্য নতুন জামা কেনেন।

শনিবার সকালে বগুড়া সরকারি শিশু পরিবারে নতুন জামা বিতরণের উদ্বোধন করেন বগুড়ার শুকরা এন্টারপ্রাইজের প্রধান ঠিকাদার ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ।

নতুন পোশাকগুলো বগুড়া পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এর আগে, আবদুল মান্নান আকন্দ রোজার প্রথম ১৫ দিন পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করেছেন।

টানা লকডাউন সম্ভব নয়, করোনাকে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে: ইমরান খান

টানা লকডাউন সম্ভব নয় উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আমাদের এই ভাইরা’সকে সঙ্গী করেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে। শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন।

তার মতে, করোনা’ভাই’রাসের বিস্তার রোধে দেশজুড়ে চলমান লকডাউনে যে বিশাল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, সে বোঝা টানার মতো ক্ষমতা বর্তমানে পাকিস্তানের নেই।

ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত করোনা’ভাই’রাস দমনে টানা লকডাউন চালানোর আর্থিক সঙ্গতি পাকিস্তানের এখন নেই। কেননা দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশাল প্রভাব ফেলছে এই লকডাউন। বিশেষ করে দিনমজুর মানুষগুলো ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইমরান খান বলেন, এখন থেকে শুরু করে এই বছরের শেষ পর্যন্ত করোনাকে সঙ্গে লড়াই করে চলার জন্য আপনারা নিজেদের প্রস্তুত করুন। যতদিন না পর্যন্ত আমরা এটার কোনো প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পাচ্ছি ততদিন আমাদের এটাকে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌আমি প্রথম দিন থেকেই এটা বলে আসছি যে, আমরা উন্নত দেশগুলোতে প্রয়োগ করা একই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারবো না। আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। এছাড়া প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতি ততটা বাড়েনি বলে দাবি তার।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের ১৫ কোটি মানুষ এই লকডাউনের কারণে সংক’টে পড়েছে। শুক্রবার বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে পরিবহন পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে ইমরান খানের কেন্দ্রীয় সরকার।

দেশের আড়াই কোটি মানুষ দিন এনে দিন চলেন। তাদের মুখের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে লকডাউন। ইমরান বলেন, বিভিন্ন প্রদেশে পরিবহন পরিষেবা চালু করা হলে পাকিস্তানের আর্থিক সংক’টের কিছুটা হলেও সমাধান হবে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, করোনায় আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৭৯৯ জন কো’ভিড-১৯ আ’ক্রা’ন্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃ”ত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৮৩৪ জন মা’রা গেছেন। তবে আ’ক্রা’ন্তদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার চিকিৎসা শেষে এখন সুস্থ।