শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে বিনামূল্যের নতুন বই !

1571

টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে বিনামূল্যের- নতুন বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অ’ভি’যোগ পাওয়া গেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ উৎসবের নামে টাকা আদায়ের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষো’ভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৪ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। কিন্তু উপজেলার পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বই বিতরণের সময় বই পরিবহন খরচ, খেলাধুলা, বিদ্যুৎ, রেডক্রিসেন্টসহ নানা খাত দেখিয়ে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ধানের কুড়া বিক্রি করে ১হাজার টাকা দিয়ে তার মেয়ের জন্য নতুন বই নিয়েছেন। অপর অভিভাবক বেতাগা গ্রামের মালেক মিয়া জানান, তিনি খড় বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে তার নাতীর জন্য বই নিতে এসেছেন।

অপর দিকে শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে ছাত্র অভিভাবকরা জানিয়েছেন। ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-অভিভাবক শেখ জামাল উদ্দিন জানান, টাকা না দেয়ায় ফুলজোড় শেখপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া ও প্রামাণিকপাড়ার অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে নতুন বই না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, তার বিদ্যালয়ে ৮শ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, সেশন চার্জসহ অন্যান্য ফি দিতে চায় না, সে জন্য নতুন বই বিতরণের সময় ১ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

হৃদরোগে ইন্তেকাল করলেন কাতার প্রবাসী ওমর ফারুক

কাতারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওমর ফারুক (৫০) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃ’ত্যু হয়েছে ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )। স্থানীয় সময় গত সোমবার সকালে কর্মরত অবস্থায় তিনি মা’রা যান।

জানা গেছে, ওমর ফারুক তিন বছর আগে কাতারে আসেন। প্রবাস জীবনে ২৫ বছর ওমানেও কাটিয়েছেন। কাতার আল শাহনিয়াতে একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। গত সোমবার কর্মরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। ম’র’দেহ স্থানীয় দোহা হামাদ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ওমর ফারুকের বাড়ি চট্রগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আব্দুল মালেক সুকানীর বাড়ী।

বাবা মরহুম গোলাপ রহমান। এদিকে তার মৃ’ত্যু’র সংবাদে পরিবারে শো’কে’র ছায়া নেমে আসে। ম’র’দেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।

মৃ’ত ওমর ফারুকের ভাগিনা কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ সোহাগ জানান, তার মামা মৃ’ত ওমর ফারুকের কোন আকামা ছিল না, তিন বছর আগে যখন কাতার আসেন মেডিকেল কর্পোরেশন কাতার তাকে আনফিট ঘোষণা করেন, তিনি দেশে ফিরে না গিয়ে কাতারে দীর্ঘদিন যাবত অ’বৈ’ধভাবে বসবাস করছিলেন।

তিনি আরও জানান, কাতার আল শাহনিয়া পুলিশ স্টেশনে গেলে তার কাছ থেকে মৃ’ত ওমর ফারুকের পরিচয় পত্র চেয়েছেন কাতার পুলিশ, এই ডকুমেন্টগুলো পেলে লা’শ দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে কাতার পুলিশ।