শীত নিবারণে চটের বস্তা গায়ে দিয়ে বৃদ্ধার ছবি ভা’ই’রাল, পদক্ষেপ নিলেন ইউএনও

2564

আমরা শীতকে উপভোগ করার জন্য নানা পরিকল্পনা করে থাকি। আবার অনেকেই এই শীতেই নিদারুণ ক’ষ্টও করে। সেই ক’ষ্টের দৃশ্য মোবাইল ফোনে তুলে সোশাল মিডিয়া দিলে তা ভা’ই’রা’ল হয়ে যায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে।

নাজমুল কুড়িগ্রাম নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানকে ওই বৃদ্ধার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেন।

নাজমুল তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ছবিটা ১৯৭৪ সালের মহাদু’র্ভি’ক্ষের সময়ের নয়, ২০১৯ সালের আজকের। যখন আমাদের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কুড়িগ্রামের ১০০ জনে ৭১ জন মানুষ যে দরিদ্র তা বোঝাতে এই ছবিটাই যথেষ্ট বলে মনে করি। আমাদের রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর এলাকায় শীতবস্ত্র দিতে গিয়ে চটের বস্তা গায়ে দিয়ে শীত নিবারনের এই চিত্রটা ধারণ করেছে এক ছোট ভাই।

খোঁজ নিলে দেখা যাবে টাকার অভাবে হয়তো তার বয়ষ্ক ভাতা হয় নাই, স্বামী মা’রা গেলেও বিধবা ভাতা হয়তো এই “মা” পান না কারণ ঘু’ষে’র ওই টাকা তার নাই। খড় বা সিন্ডার বেড়া দিয়ে বানানো ঘরটার গঠন দেখলেই বুঝা যায় কতোটা অসহ্য য’ন্ত্র’ণায় এতোদিন ছিলেন তিনি। সামান্য একটা কম্বলও জোগাড় হয়নি।

ধন্যবাদ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন মানব কল্যাণ সংগঠনকে এ বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমরা গরিবরাই নিজেদের ক’ষ্টের টাকায় এ সব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ।’

পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোবায়ের হোসেন ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অসহায় সেই বিধবার বয়ষ্ক ভাতা আছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন। না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াসহ পরিবারের সার্বিক ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

চট্টগ্রামের মেয়ের প্রেমের টানে উড়ে এসে মুসলিম হয়ে ব্রিটিশ তরুণের বিয়ে !

বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমে পড়ে সুদূর ব্রিটেন থেকে চট্টগ্রামে উড়ে এলেন ব্রিটিশ তরুন। এরপর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ের পিঁড়িতেও বসে পড়লেন। গত বৃহস্পতিবার বাঙালি রীতি অনুযায়ী গায়ে হলুদ ও শনিবার চট্টগ্রাম নগরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে। ওই ব্রিটিশ যুবকের নাম গ্রাহাম স্টুয়ার্ট। আর তরুণীর নাম ফেরদৌসি কবির মুক্তা।

গ্রাহাম স্টুয়ার্ট মুক্তাকে বিয়ের আগে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর গ্রাহামের নাম রাখা হয়েছে সাইমন কবির। পরে বাঙালি মুসলমানের রীতি অনুযায়ী মুক্তা ও কবিরের বিয়ে হয়।

মুক্তা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হুমায়ুন কবির হেলালীর মেয়ে। নবদম্পতি বর্তমানে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার লাভলেন এলাকায় কবির হেলালীর বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ফেরদৌসি কবির মুক্তার বাবা হুমায়ুন কবির হেলালী সংবাদমা ধ্যমকে জানান, মুক্তা ২০১৭ সালে লন্ডনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। লন্ডনে পড়াকালীন গ্রাহামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাদের। পারিবারিক ভাবে বিয়ের কথা উঠলে ধর্মীয় বিষয়টি সামনে আসে। পরে গ্রাহাম ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সামাজিকতার বিষয়টি তাকে জানানোর পর সে এখানে এসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রাহামে দেশে আসে। এরপর থেকে সে আমাদের বাসায় আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাঙালি রীতি অনুযায়ী গায়ে হলুদ ও শনিবার চট্টগ্রাম নগরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে।