শুল্ক ছাড়া প্রবাসীরা বিদেশ থেকে বিমানে যে ৩৩ পণ্য আনতে পারেন

1829

শুল্ক ছাড়া ৩৩ পণ্য- ভ্রমণে গেলে বিদেশ থেকে অনেকে নানা ধরনের শখের বা প্রয়োজনীয় পণ্য আনতে চান। কিন্তু শুল্কসহ বিভিন্ন জটিলতায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ছক অনুযায়ী প্রায় ৩৩টি পণ্য রয়েছে যা নির্দিষ্ট পরিমাণ আনলে শুল্ক দিতে হয় না।

শুল্ক ছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ আনা যায় ৩৩ পণ্য:

১. ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার। ২. ২০০ গ্রাম রৌপ্যের অলঙ্কার। ৩. ২টি মোবাইল বা সেলুলার ফোনসেট। ৪. ক্যাসেট প্লেয়ার/টু-ইন ওয়ান। ৫. ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান (অডিও)। ৬. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার।

৭. একটি ইউপিএসসহ ডেস্কটপ/ল্যাপটপ কম্পিউটার। ৮. কম্পিউটার স্ক্যানার। ৯. কম্পিউটার প্রিন্টার। ১০. ফ্যাক্স মেশিন। ১১. স্টিল ক্যামেরা বা ডিজিটাল ক্যামেরা।

১২. সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোনসেট। ১৩. সাধারণ বা ইলেকট্রিক ওভেন বা মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ১৪. বার্নারসহ রাইস কুকার। ১৫. প্রেসার কুকার ও গ্যাস ওয়েন। ১৬. টোস্টার। ১৭. স্যান্ডউইচ মেকার।

১৮. ব্লেন্ডার। ১৯. ফুড প্রসেসর। ২০. জুসার ও কফিমেকার। ২১. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপরাইটার। ২২. বৈদ্যুতিক ও ম্যানুয়াল গৃহস্থালী সেলাই মেশিন।

২৩. টেবিল। ২৪. প্যাডেস্টাল ফ্যান ও গৃহস্থালি সিলিং ফ্যান। ২৫. ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্পোর্টস সরঞ্জাম। ২৬. ২০০ শলাকার এক কার্টন সিগারেট। ২৭. ২১ ইঞ্চি পর্যন্ত প্লাজমা। ২৮. এলসিডি, টিএফটি ও এলইডি টিভি এবং ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত সিআরটি সাদা-কালো ও রঙিন টেলিভিশন।

২৯. ভিসিআর ও ভিসিপি। ৩০. সাধারণ সিপি ও দুটি স্পিকারসহ কম্পোন্যান্ট। ৩১. চার স্পিকারসহ কম্পোন্যান্ট। ৩২. ১৯ ইঞ্চি এলসিডি কম্পিউটার মনিটর। ৩৩. ভিডিও ক্যামেরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে জারি করা যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালায়-২০১৬ প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

যাত্রীর পেশাগত কাজে ব্যবহার্য ও সহজে বহনযোগ্য যন্ত্রপাতি শুল্ক ছাড়াই আমদানি করতে পারবেন। আকাশ ও জলপথে আসা ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের যাত্রীর সঙ্গে হাতব্যাগ, কেবিনব্যাগ ও অন্যবিধ উপায়ে আনীত ৬৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ব্যাগেজ বহন করতে পারবে।

বিমানের প্রেমে পড়েছেন জার্মান এক নারী, বিয়েও করবেন এটাকে !

মন থেকে কোনো ব্যক্তি বা কোনো বস্তুর প্রেমে পড়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। ঠিক যেমনটি ঘটেছে জার্মান নারী মাইকেল কবকের ক্ষেত্রে। ৩০ বছর বয়সী এই নারী কোনো পুরুষের নয়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর প্রেমে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ডেটিং করছেন এই জড়বস্তুর সঙ্গে। ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মার্চে বিয়ে করছেন তারা।

৪০ টন ওজনের এই জাম্বো জেটের সঙ্গে কবকের প্রথম দেখা হয় ২০১৪ সালে বার্লিন টেগেল এয়ারপোর্টে। তখনই বিশালাকৃতির এই অত্যাধুনিক বিমানের প্রেমে পড়ে যান তিনি।

জার্মান এই নারীর বিমানপ্রীতির ঘটনা এ কান থেকে ও কানে যেতে সময় লাগেনি। বিমানের প্রতি একটা আগ্রহ দেখে বিমানকে স্পর্শ করার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত তিনি বিমানের পাখায় ওঠার সুযোগ পান এবং তাতে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেন। ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মার্চে নেদারল্যান্ডসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তারা।

২০১৩ সালের নভেম্বরে প্রথম বিমানে আরোহন করেন এই জার্মান নারী। এরপর থেকেই মূলত বিমানের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। সেই সময়টার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বিমানে থাকার মুহূর্তটা ছিল আমার জীবনের সেরা সময়। আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন অনেক মজা করেছি, একে অপরকে চুম্বন করেছি এবং আমি তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিয়েছি।’

ভালোবেসে বিমানবয়ফ্রেন্ডের নাম দিয়েছেন ‘স্ক্যাটজ’, যার অর্থ প্রিয়তম। কবকের দাবি, তারা ছয় বছর ধরে ডেটিং করছেন এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র দুইবার। তার ইচ্ছা, সুযোগ পেলে সারাদিন কাটাবেন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর সঙ্গ সবসময় না পেলেও নিজের বেডরুমে বোয়িংয়ের একটি মডেল রেখে দিয়েছেন কবকে। যান্ত্রিক এই প্রেমিককে জড়িয়ে ধরেই রাত পার করেন তিনি।

মার্চে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পেশায় বিক্রয়কর্মী এই নারী। বিশেষ ওই দিনে কোনো সাদা রঙের পোশাক পরতে চান না তিনি। তিনি বলেছেন, ‘তার বিশেষ দিনের পোশাক হবে স্মার্ট ধরনের। সেটা হলো কালো রঙের ট্রাউজার ও ব্লেজার।’

আমি চাই কেউ আমাদের বিয়ে দিয়ে দিক আর বলুক, ‘তুমি কি তোমার ৭৩৭-৮০০ কে বিয়ে করত চাও?’উত্তরে আমি বলব, ‘অবশ্যই’। আমি তাকে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেব এবং সারাজীবন অমর থাকব।

বলা হচ্ছে, বোয়িংয়ের প্রতি জার্মান এই নারীর প্রবল আকর্ষণ কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আবার এমন ঘটনা যে আগে ঘটেনি, তা-ও কিন্তু নয়। বিশেষ বস্তর প্রতি এমন টানকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অবজেক্টোফোবিয়া। কেউ এই রোগে ভুগলে তার বিশেষ বস্তুর প্রতি অপরিসীম টান তৈরি হয়।

তবে বোয়িংয়ের প্রতি এ টানকে ব্যতিক্রম বলতে রাজি নন কবকে। তার মতে, তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গেই (বোয়িংয়ের মডেল) সন্ধ্যায় সময় কাটাই। যখন রাতে বিছানায় যাই তখন আমরা এক অপরকে জড়িয়ে ধরি এবং ঘুমিয়ে পড়ি।’ তার মতে, ভালোবাসার কোনো সীমা নেই।