
জ্বর কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে – আমাদের দেশে তোকমা খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি বীজ দানা। যা পানিতে বা শরবতে ভিজিয়ে খেতে হয়। আয়ুর্বেদ, ইউনানি ও চীনা মেডিসিনে যার বহুল ব্যবহার রয়েছে।



বিজ্ঞানে Ocimum Sanctum গোত্রের একটি উদ্ভিজ্জ উপাদান হিসেবে থাকলেও এই বীজের ব্যবহার সারা দুনিয়া জুড়ে পানীয় হিসেবেই পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, প্রোটিন, আয়রন এবং ক্যালরি।
যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তোকমা বীজ পানিতে ভেজানোর পর একটি জেলী জাতীয় আবরণ তৈরি হয়, যা পরিপাকে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে প্রচুর আঁশ থাকায় হজম, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি সমস্যায় বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে।



চলুন জেনে নেয়া যাক তোকমা বীজের জাদুকরী উপকারিতা সম্পর্কে-
১- তোকমা জ্বর কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। তাই হাঁপানি রোগীরা নিয়মিত তোকমা ওষুধ হিসেবে সেবন করতে পারেন।
২- এতে লাইনলিক ও ফ্যাটি এসিড থাকায় টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। তোকমা গ্রহণকারী ইঁদুরের উপর করা একটি গবেষণায় এটি প্রমাণিত।
৩- প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে বলে শরীরে বল পাওয়া যায়। এছাড়াও সকালের নাস্তায় তোকমা খেলে সারাদিন শরীর থাকে ঝরঝরা।



৪- তোকমা বীজের তেল গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
৫- তোকমা খেলে ক্ষুধাভাব কমে আসে। পেট ভরা অনুভুত হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬- শরীরের প্রদাহ, ফোলা ভাব, আরথ্রাইটিসের সমস্যায় তোকমা দারুণ উপকারী।
৭- কোলেস্টেরল, হৃদরোগের সমস্যা সমাধানেও তোকমা ব্যবহার হয়।
৮- এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, লিপিড স্তর সীমিত রেখে দুশ্চিন্তা দূর করে।
৯- আবার তোকমা মুখের নানা ধরণের ইনফেকশন, আলসার, প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয়ও রোধ করে।



১০- তোকমা খাওয়ার সময় পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। পরিপূর্ণভাবে ভিজে ফুলে উঠলে শরবত বা পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তবে শিশু ও গর্ভবতীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া ভালো।
সাথে ঘরোয়া তিন খাবারেই ফুসফুস থাকবে পরিষ্কার….
প্রতিদিনের কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের ফুসফুস নষ্ট হতে থাকে। তাছাড়া যাদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে, তাদের ফুসফুস নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সব থেকে বেশি। ধূমপান ফুসফুসকে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।



ধূমপানের কারণে ফুসফুসে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। এর ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্যানসারও হতে পারে। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
আদা-
প্রতিদিনের রান্নায় আমরা অনেকেই আদা ব্যবহার করি। অনেকেই আবার আদা দিয়ে চা বানিয়েও পান করেন। ঘরোয়া দাওয়াই হিসেবে আদা বেশ পরিচিত। এটি শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিকর পদার্থ নষ্ট করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেলে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সরে যাবে। ফলে ফুসফুস পরিষ্কার থাকবে।



লেবু-
লেবুর অনেক ওষুধি গুণ রয়েছে। কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ ও লেবু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে ফুসফুস পরিষ্কারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়া লেবু ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক।
গ্রিন টি-
নিয়মিত চা পানের অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তবে তা দুধ চা না হয়ে গ্রিন টি হলে সব চেয়ে বেশি উপকারী। এটি দেহের নানান রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এমনকি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে। তাই সবুজ চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।