সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে চুল বিক্রি করে দিলো মা !

1696

সাত মাস আগে আত্ম’হ’ত্যা করে মা’রা গেছে স্বামী। আপাদমস্তক ঋণে জর্জরিত। হাতে কানাকড়িও নেই। অন্যের কাছে হাত পেতেও সাহায্য পাননি। তার তিনটি সন্তানই অভুক্ত। খাবারের জন্য তারা কাঁদছে। শেষমেশ অসহায়-দরদি মা নিজের চুল বিক্রি করে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন।

এমনই হৃদয়-বিদারক ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম শহরে। অসহায় ওই নারীর নাম প্রেমা (৩১)। পরে আ’ত্ম’হ’ত্যার চেষ্টাও করেছেন ওই নারী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার প্রেমার কাছে কোনো কানাকড়িও ছিল না। চোখের সামনে ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছিল তিন শিশু।

তাদের একজনের বয়স পাঁচ বছর। বাকি দুজনের বয়স আরও কম-দুই আর তিন বছর। বাড়িতে খাবারের জন্য কিছুই ছিল না। বাধ্য হয়ে কয়েক জনের কাছে হাতও পাতেন। কিন্তু কারও মন গলেনি। সবাই তাকে তাড়িয়ে দেয়।

দিশেহারা অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রেমা। ভেবে পাচ্ছিলেন না কী করবেন। ঠিক সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে এক ফেরিওয়ালা পরচুলা বানানোর জন্য চুল কিনবেন বলে হেঁকে যাচ্ছিলেন!

এক মুহূর্তও আর ভাবেননি প্রেমা! নিজের চুল কেটে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। ১০০ টাকা দিয়ে সন্তানদের জন্য খাবার কেনেন। বাকি টাকা নিয়ে পাশেই একটি দোকানে কী’ট’না’শ’ক কিনতে যান প্রেমা।

প্রেমার এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন জি বালা নামের এক গ্রাফিক ডিজাইনার। তিনি লেখেন, ‘প্রেমা বি’ষা’ক্ত আরালি বীজ খেয়ে আ’ত্ম’হ’ত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বোন এসে তাকে আট’কায়।’

জানা গেছে, ওই ঘটনা পোস্ট করার পর তার সাহায্যে অনেকে এগিয়ে আসেন। তার জন্য সংগ্রহ করা হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সালেম জেলা প্রশাসন প্রেমার মাসিক বিধবা ভাতা চালু করে দেয়। বর্তমানে বালার এক বন্ধুর ইটভাটায় কাজ করছেন প্রেমা।

ঘেরের মাছ চুরি, মেম্বারকে সারারাত বেঁধে রাখল গ্রামবাসী !

ঘেরের মাছ চুরির সময় ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেলিম হোসেনকে আ’ট’ক করেছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা এলাকায় । আটকের পর তাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা তাকে বেঁধে রাখা হয়।

এ অবস্থায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মাছ চুরির সময় আটক সেলিম হোসেন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা।

পাথরঘাটা গ্রামের শওকত হোসেন বলেন, আমরা ১২ জন একত্রে একটি মাছের ঘের করেছি। তার পাশেই আরেকটি মাছের ঘের রয়েছে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মাছের ঘের থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে নিজের ঘেরে ছাড়েন ওই ইউপি সদস্য।

ঘটনাটি আমরা জানার পর পাহারায় ছিলাম। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে সেলিম হোসেন আমাদের ঘের থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে নিজের ঘেরে ছাড়তে থাকেন। এ সময় শাহাদাৎ, মান্নানসহ আমরা কয়েকজন সেলিম হোসেনকে হাতেনাতে মাছসহ ধরি।

তিনি আরও বলেন, এরপর গ্রামবাসী ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনকে বিদ্যুতের খুুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এ অবস্থায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনার পর ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ করে তিনি পরিচয় গোপন করেন। একপর্যায়ে কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাছ চুরির সময় ইউপি সদস্য ধরা পড়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।