সিলেটের মেয়ে ‘মাহজাবীন’ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় নিয়োগ পেলেন !

4044

মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের সিলেটের মেয়ে মাহজাবিন হক। তাদের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে। তারা সিলেট নগরের কাজীটুলার হক ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে নাসায় কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশি নারী।

তিনি এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েন স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তার এমন সাফল্যে পুরো মিশিগান শহরে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।

মাহজাবীন ওয়েইন স্টেইট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে ইন্টার্নশিপ করেছেন। প্রথম দফায় তিনি ডাটা এনালিস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন।

মাহজাবীন হক জানান, দু দফায় আট মাস দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেন তিনি। এই কাজের মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। নাসা, অ্যামাজনসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে তিনি চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন। এর মধ্যে নাসাকেই বেছে নেন তিনি।

মাহজাবীনের বাবা সৈয়দ এনামুল হক পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তাদের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে।

পেইন্টিং ও ডিজাইনে পারদর্শী মাহজাবীন হক ২০০৯ সালে বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান। কর্মসূত্রে বাবা সৈয়দ এনামুল হক সিলেটে অবস্থান করলেও তার সাথে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ভাই সৈয়দ সামিউল হক। তারা সিলেট নগরীর কাজীটুলাস্থ হক ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।

বুয়েটের সেই নাস্তিক ছেলেটির স্বপ্ন এখন মানুষকে জান্নাতে নেয়া !

মাহমুদুল হাসান সোহাগ এক সময় নাস্তিক ছিলেন। তিনি একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আজ তিনি একজন পাক্কা মুমিন হয়েছেন। বাংলাদেশের লাখো তরুণের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে EEE তে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে যিনি হয়েছেন একাধারে গবেষক ও সফল উদ্যোক্তা।

উদ্ভাস উন্মেষ শিক্ষা পরিবারের সফল প্রতিষ্ঠাতা তিনি। প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বুকশপ rokomari.com এর।

বাংলাদেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক স্কুল অন্যরকম পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই; যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আয়মান সাদিক তৈরি করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন স্কুল ‘টেন মিনিট স্কুল’।

তিনি একাধারে প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিঃ, টেকশপ বাংলাদেশ লিঃ, অন্যরকম সফটওয়্যার লিঃ, অন্যরকম প্রকাশনী লিঃ, অন্যরকম সল্যুশনস লিঃ, অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস লিঃ, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিঃ এর মতো সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর।

তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড-এর একাডেমিক কাউন্সিলরও ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশে প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন(EVM) তৈরি করেছেন। যার ঝুলিতে আছে দেশ-বিদেশের অনেকগুলো পুরস্কার ও সম্মাননাও।

আমাদের দৃষ্টিতে একজন সফল মানুষ উনি। কিন্তু উনাকে যখন উনার জীবনের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলেন আয়মান সাদিক, উনি কি উত্তর দিলেন, জানেন? উনার জীবনের লক্ষ্য হলো, “যতো বেশি সংখ্যক মানুষকে নিয়ে জান্নাতে যাওয়া যায়।”

এই মানুষটাই আগে ছিলেন নাস্তিক, সেকুলার। সেই মানুষটা আমূলে বদলে হয়ে গেলেন একজন মুসলিম; একজন পাক্কা প্র্যাকটিসিং মুসলিম। আমাদের তথাকথিত সফলতার সংজ্ঞায় যিনি একজন অন্যতম সফল মানুষ তিনিই কিনা খুঁজছেন অন্য সফলতা!

হ্যাঁ, ঠিকই তো। উনি পেয়েছেন উনার রব; আমাদের সবার রব, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার হিদায়াত। তাই তিনি ছুটে চলেছেন চির সফলতার দিকে…

“সুতরাং যাদেরকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে নিশ্চই তারাই সফলকাম। আর দুনিয়ার জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়।” [সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫]

উদ্ভাস-উন্মেষ শিক্ষাবিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তার প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে তাই একটুখানি লেখনী।