
টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে জমানো টাকা – মহিমা ও মাকসুদা দুই বোন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তারা। টানা দুই সপ্তাহ তাদের বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণে খোঁজ নিতে তাদের বাড়িতে আসে সহপাঠীরা।
গত কিছুদিন ধরে তাদের মা অসুস্থ। বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছে। এরই মধ্যে স্বজনরা নিয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।



সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকার অভাবে তা আর সম্ভব হয়নি। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মহিমা ও মাকসুদা। বিদ্যালয়ে যাওয়াও ছেড়ে দেয় তারা।
এরপর তারা ঘটনাটি জেনে দুই সহপাঠীর পাশে দাঁড়ানোর শপথ নেয়। পরে তারা কয়েক দিনের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জমা করে। আর গত বুধবার দুপুরে ওই টাকা তুলে দেয় সহপাঠীর অসুস্থ মায়ের হাতে।



এ উদ্যোগ এখানেই শেষ নয়, তারা অসুস্থ মায়ের হাত ধরে কথা দিয়েছে, সহপাঠীর মা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের টিফিনের টাকা এভাবেই তুলে দেবে তারা।
অনুকরণীয় এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।



স্বজনরা জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে তাদের বাবা মা”রা যান। মায়ের উপার্জনেই সংসার ও পড়ালেখা চলত তাদের। কিন্তু হঠাৎ তাদের মা যকৃতের অসুখে পড়েন। এরই মধ্যে বন্ধও হয়ে যায় কারখানাটি। তাদের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তারা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টাকার অঙ্ক যাই হোক—কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগের কথা জেনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।



শিক্ষার্থীদের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে জমানো টাকা তুলে দেওয়ার সময় একজন শিক্ষককে (গোলাম মাওলা) নিয়ে আমিও গিয়েছিলাম সেখানে। নিজের চোখে আমার ছাত্রীদের এমন বিরল কর্ম দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে।’
বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কচুরিপানা
সম্প্রতি কচুরিপানা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের এক বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে ঢের আলোচনা চলছে ইন্টারনেটে। আলোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদেও। কচুরিপানার উপকারী দিক নিয়ে সংবাদও প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এরমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দোকান থেকে কচুরিপানা কিনছেন ক্রেতারা।



তবে ভিডিওটি কোন জায়গা থেকে ধারণ করা সেটাও জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভিডিও নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, কোনো একটি বাজারে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে।
আজ বুধবার এমডি বনফুল নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি সবজির দোকানে এসেই কচুরিপানার দাম জিজ্ঞাসা করছেন। বিক্রেতা জানাচ্ছেন, কচুরিপানার কেজি ৮০ টাকা। এরপর দাম কিছুটা কম রাখা যায় কিনা এমন প্রশ্ন করলে বিক্রেতা জবাব দেন, কেজিতে ৫ টাকা কম রাখা যাবে।



কিন্তু তিনি ৬০ টাকা কেজি রাখতে বললেও রাজি হয়ে যান বিক্রেতা। এরপর তিনি আধা কেজি কচুরিপানা নেন। এরমধ্যেই অপর এক ব্যক্তিও এসে দাম জানতে চান এবং তিনিও কিছু কচুরিপানা কেনে।
একই সময়ে পেছন থেকে অপর একটি কণ্ঠ ভেসে আসে, যেখানে জানতে চাওয়া হয় আর কচুরিপানা আছে কিনা। জবাবে দোকানদার জানান, আছে, আছে।
তবে ভিডিওটি দেখে অনেকেই অবাক হলেও বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীই বলছেন, ‘এটি মন্ত্রীকে ট্রল করে বানানো হয়েছে।’ এদিকে মিজান রহমান নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আসলে কি মানুষ পাগল হয়ে গেছে নাকি।’
এ সময় তার এমন প্রশ্নের জবাবে কায়সার হামিদ নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘Mizan Rehman আরে ভাই এগুলো মন্ত্রীকে ট্রল করে ভিডিও বানাইছে।’