
সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার জনপ্রিয়তা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবারই কম-বেশি জানা। বেসন বা চালের গুঁড়োর ব্যাটারে কুমড়ো ফুল চু’বিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নেয়া হয়। এ ছাড়া কুমড়ো ফুল ভেজেও খাওয়া যায়। কেউ কেউ ঝোল ঝোল করে তরকারিও রান্না করে থাকে এই কুমড়ো ফুল দিয়ে।



কুমড়া ফুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত তথ্যগুলো আমাদের প্রায় সবারই অজানা! পুষ্টিগুণের দিক থেকে মিষ্টি কুমড়ার ফুলও কিন্তু মিষ্টি কুমড়া থেকে কোন অংশে কম নয়। চলুন, কুমড়া ফুলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক, ১- মিষ্টি কুমড়ার ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি যা ঠান্ডা বা কাশি প্র’তিরোধে সহায়ক। ২- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন বিদ্যমান যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। ৩- এতে প্রচুর ভিটামিন-এ থাকাই চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল করে। ৪- প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ডি’প্রেশন কম রাখতে সহায়তা করে।



৫- ক্যালরির পরিমাণ খুব কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকাতে হজমে সহায়ক। ৬- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যা’ন্সা’র প্র’তিরো’ধে সহায়তা করে। ৭- এ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক।
টানা সাতদিন ডাবের পানি পান করার উপকারিতা
শীতের বিদায়ের পর এসেছে বসন্ত। বসন্তে সূর্যের খ’রতাপে পু’ড়’তে হবে সেটাই স্বাভাবিক। আর এই ঋতু বদলের সময়টায় রো’গে’র প্রা’দু’র্ভা’ব ঘটে সব চেয়ে বেশি। সে জন্য শরীর-স্বাস্থ্য প্রতি নিতে হয় বাড়তি যত্ন।



এই মৌসুমে রাস্তা-ঘাটে বেরুতে হলে সঙ্গে রাখুন পানি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ডাবের পানি পান করলে ভালো ফল পেতে বাধ্য। এই গরমে টানা ডাবের পানি পান করলে উপকারিতা পাওয়া যায় অনেক। টানা সাতদিন ডাবের পানি পান করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নেই-
১) ডাবের জল হল প্রাকৃতিক স্যালাইন। তাই যারা সমুদ্র উপকূলে বা রোদে কাজ করেন তারা দিনে দুই-তিনটি ডাব খেতে পারেন। ২) ডাবের জলে উপকারী উৎসেচক থাকায় তা হজমে অত্যন্ত সাহায্য করে। অনেকের জন্যই ভারী কিছু খাওয়ার পর ডাবের জল বেশ উপকারী।



৩) ডাব আমাদের শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ক্ষ’তি’কর খাবারের বদলে ডায়েটে রাখুন ডাবের জল। ৪) এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম রয়েছে। তাই শরীরে এ সব খনিজের অভাব রুখে দিতে পারে ডাবের জল। ৫) ডাবের জলের মধ্যে রয়েছে মূত্রবর্ধক উপাদান।
এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিষ্কারে সাহায্য করে। ৬) শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে ডাবের জল। ৭) থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। ৮) শরীর চর্চার পর এক গ্লাস ডাবের জল শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। ৯) প্রতিদিন এক কাপ ডাবের জল পান করলে ত্বক আর্দ্র থাকে। ফলে ব্রণের সমস্যা কমে।