হঠাৎ গাইবান্ধার আকাশ থেকে নেমে এলো বিশাল এক অচেনা পাখি

1479

একঝাঁক পাখি উড়ছিল আকাশে। গতি ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। সেই ঝাঁক থেকে হঠাৎই এক পাখি দড়াম করে পড়ে গেল মাটিতে। উৎসুক মানুষ ছুটে গেল পাখিটিকে দেখতে। গ্রামের শিশু-কিশোররা ভিড় করলো অদ্ভুত সেই পাখিটাকে দেখতে।

ঘটনাটা ঘটেছে সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তরফকাল গ্রামে। বিশাল আকৃতির পাখিটাকে কেউ সনাক্ত করতে পারছেন না।

কারো দাবি, বিরল প্রজাতির। কেউ কেউ এটাকে ঈগল বা শকুনও বলছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে পাখিটার পরিচয় কেউ জানাতে পারছেন না।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, সোমবার বিকেলে তরফকাল গ্রামের জমিতে বিরল প্রজাতির বড় আকৃতির পাখিটি দেখতে পান স্থানীয় জনগণ।

পাখিটি উড়তে পারছিল না। তখন এলাকাকাসী বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাখিটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওসি শাহরিয়ার আরো জানান, পাখিটির ওজন আনুমানিক ১৫ কেজি। থানায় নিয়ে আসার পর বেশ কয়েকটি মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়েছে পাখিটিকে।

মঙ্গলবার পাখিটিকে গাইবান্ধা বন বিভাগে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিরল প্রজাতির এই পাখিটি দেখতে উৎসুক জনতা থানায় ভিড় জমাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে এক ঝাঁক পাখি আকাশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। সেই ঝাঁক থেকে হঠাৎ একটি পাখি মাটিতে পড়ে যায়। তখন গ্রামের শিশু-কিশোররা পাখিটি ধরে বেঁধে রাখে। পরে থানায় খবর দেয়া হয়।

গাইবান্ধা বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বলেন, পাখিটিকে দিনাজপুরের সিংরিয়া বন বিভাগের শকুন লালন পালন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ডানা দিয়ে আগলে রাখল ডিম, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মা পাখির সংগ্রামের ভিডিও

সন্তানের জন্য চ’র’ম’ত’ম বি’প’দে’র সঙ্গে মোকাবিলা করেও জয়ী হওয়ার শক্তি রাখেন একজন মা। তিনি মানুষরূপীই হোন কিংবা পক্ষীরূপী। এই একটি ভূমিকায় স্ত্রী লিঙ্গের সকলেই যেন অভিন্ন।

তেমন মায়েরই সংগ্রামের কাহিনি আপাতত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। জমিতে চষে বেড়ানো ট্রাক্টরের চাকা থেকে নিজের প্রস্ফুটিত ডিমকে যেভাবে আগলে রেখেছে পাখি মা, তা মন জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের।

ডিম পেড়েছিল এক চাষের জমিতে। সেখানে পড়েছি ডিম। নির্দিষ্ট সময়ের পর তা দিয়ে শাবককে পৃথিবীর আলো দেখানোর কথা মায়ের। তাই প্রতিদিন পাখিটি নিজের ডিমের অবস্থা দেখে যেত। একদিন সে দেখতে পায়, বিশাল বড় একটি ট্রাক্টর এগিয়ে আসছে ডিমের দিকে।

সঙ্গে সঙ্গে ডিম আগলে ট্রাক্টরের পথ রোধ করে দাঁড়ায় সে। প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি কৃষক। তিনি ট্রাক্টর থামিয়ে সামনে গিয়ে দেখেন, ব্যাপারটা কী।

কেন পাখির এমন প্রতিরোধ? আর তারপরই তাঁর নজরে আসে পাখির দু’পায়ের ফাঁকে, ডানার নিচে লুকিয়ে একটি ডিম। অর্থাৎ ভাবী সন্তানের আশ্রয়টুকু কাউকে কেড়ে নিতে দেবে না সে।

বিষয়টি বুঝে কৃষকও তার সহযোদ্ধা হন। পরেরদিন থেকে খুব সাবধানে তিনি জমিতে ট্রাক্টর চালান, যাতে ডিমের কোনও ক্ষতি না হয়।

বনদপ্তরের এক আধিকারিক, আইএফএস অফিসার প্রবীণ কাস্বান নিজের টুইটারে পাখির ডিম আগলানোর ভিডিওটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ”এটাই মায়ের ভালবাসা। পাখি মা নিজের ডিম এই চাষের জমি থেকে সরিয়ে না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

সে দাঁড়িয়ে থেকে ডিম আগলাচ্ছে। আর এই যে কৃষক, যিনি এত সাবধানে নিজের যন্ত্র চালাচ্ছেন, তাঁকেও সাধুবাদ জানাতে হয়।”

তেতাল্লিশ সেকেন্ডের সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে মায়ের সংগ্রামের এক অন্য অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেউ কেউ মনে করছেন, শাবকের প্রা’ণ’র’ক্ষা’য় পক্ষী মা যে কোনও বি’প’দে’র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, এই ভিডিও আবার তা প্রমাণ করল।