হাঁচি-কাশি, জ্বর মাথা ব্যাথা মানেই করোনা নয়, আ’ত’ঙ্কি’ত হবেন না

8589

সর্দি, হাঁচি, কাশি, মাথা ব্যাথা হলেই নিজেকে করোনা আ’ক্রা’ন্ত ভেবে হতাশ হবেন না, অন্য অনেক কারণেও এমন হতে পারে। তবে এমন উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়-

১.সর্দির সমস্যা হলে বুঝতে হবে কেমন সর্দি। নাক দিয়ে যদি পানি পড়ে ভয়ের কারণ নেই। তবে কফ নেই, কিন্তু সর্দির জন্য অস্বস্তি, গলা জ্বালা ও গলা ব্যথা হলে সর্তক হোন। আর হাঁচি থাকলেও ভয়ের কারণ নেই।

২. খুশখুশে ঘন ঘন শুকনো কাশি থাকলেও ভয়ের কারণ রয়েছে। দিনে দু’এক বার কাশলে তাকে স্বাভাবিক ধরে নেয়া যাবে। তবে এমন যদি হয় আপনি কাশি দিতে আছেন তবে সমস্যা। তখন দেখতে হবে শ্বাসকষ্ট বা জ্বর আসছে কি না। আর সর্দির জন্য গলা ব্যথা বা কাশি হলেও নিজের জিনিসপত্র আলাদা করে আলাদা থাকুন।

৩. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, গলা ব্যথা-কাশির উপসর্গ দিয়ে শুরু হলেও এই ধরনের ভাইরাসের কারণে তা দ্রুত বাড়ে ও প্রবল জ্বর ডেকে আনে,সঙ্গে শ্বাসকষ্টও থাকে। অনেক সময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত করে। আবার হঠাৎই শুরু হয়ে যাচ্ছে ডায়রিয়া। তবে সাধারণ ডায়রিয়া কি না তা বুঝতে পরের দু’দিন খেয়াল রাখুন।

৪. করোনার আরেকটি উপসর্গ হলো সাত-আট দিনের মাথায় প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

করোনা ভা’ইরাস অন্যান্য ভা’ইরাসের তুলনায় ভারী,তাই এটি মাটি,মেঝে/ফ্লোরেও অবস্থান করে। তাই মেঝে সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। হাত-পা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাতে হাত মেলানো, কোলাকুলি, জনসমাগম স্থানে যাওয়া থেকে আপাতত বিরত থাকুন। যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেলবেন না।

হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু /রুমাল ব্যবহার করুন। রুমাল ব্যবহারের পর সেটা আবার ধুয়ে নিন। নিজে যথাযথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন করুন।

সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে, তাই সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার শরণাপন্ন হোন, তাঁর প্রতি ভরসা রাখুন এবং নিজেরা সচেতন থাকুন।

এই মুহূর্তে করোনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম

করোনা ভা’ইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বন্দর নগর চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ বেশি ঝুঁ’কি’তে আছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁ’কি’তে আছে।

কারণ আমাদের দুটি বন্দর, একটি বিমানবন্দর ও অপরটি সমুদ্র বন্দর। দু’টি বন্দর দিয়েই সং’ক্র’ম’ণে’র সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সং’ক্র’ম’ণকারীকে ঠেকিয়ে দেয়া না যায়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।’ ইতালিফেরত প্রবাসীদের কারণে চট্টগ্রামে ঝুঁ’কি’র পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।