
গাজীপুরের তিস্তারগেট স্টেশন রোড এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু মো. রনিকে (৬) তাদের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিল সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুর মা শাহনাজ আক্তার ও বাবা হাফেজ আমিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জে আসলে সদর থানার পুলিশ এসআই রেজাউল ইসলাম শাহ্ রনিকে তাদের হাতে তুলে দেন।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে এসআই রেজাউল ইসলাম শাহ্ সাংবাদিকদের জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকায় শিশু রনি এলোপাতাড়ি হাঁটতে থাকলে স্থানীয় দোকান মালিকরা থানায় খবর দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেন। তার কাছে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে বাবা আমিরুল ইসলাম, মায়ের নাম শাহনাজ, বাড়ি গাজীপুর থেকে এসেছে, আর কিছু বলতে পারে না।
রনিকে তার হেফাজতে রেখেই গাজীপুর এলাকার টঙ্গী থানা পুলিশের সহায়তায় চার দিন পর তার মা শাহনাজ আক্তার মুঠোফোনে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করলে বুধবার সকালে মা শাহনাজ আক্তার ও বাবা হাফেজ আমিরুল ইসলাম হাতে রনিকে তুলে দেয়া হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে রনিকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে গাজীপুরের থানাগুলোতে ছেলেটির বিষয়ে খবর পাঠানো হয়। খোঁজখবরের এক পর্যায়ে সোমবার দুপুরে জানা যায় ছেলেটির বসতবাড়ির খবর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই আবু জাফর, এসআই তরিকুল ইসলাম, এসআই আলী জাহান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই সৌরভ।
ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার…
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতারের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বশিরুল ইসলাম (৫৭) খালিয়াজুরী এবতেদায়ী কওমিয়া হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ড। তিনি মাদ্রাসার ভিতরে একটি রুমে বসবাস করেন।
খালিয়াজুরী থানার ওসি এ.টি.এম মাহমুদুল হক জানান, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গোলাম আবু ইছহাক থানায় এসে ১১ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ করেন। বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্রের বাড়ী খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের ফতুয়া গ্রামে। সে ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র।
ছাত্রটি জানায় মাদ্রাসার আবাসিক মেসে থেকে সে কিতাব বিভাগে পড়ে। গত রোববার রাতে তাকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার সুপার তার নিজ কক্ষে পা টিপতে বলেন। এক পর্যায়ে সুপার তাকে জোর করে ধরে বলাৎকার করেন। বিষয়টি কাউকে বললে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
পরের দিন গতকাল সোমবার সে বিষয়টি তার এক শিক্ষককে প্রথমে জানায় পরে ওই শিক্ষক বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম আবু ইছহাককে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন, অনেক ছাত্রের সাথে মাদ্রাসার সুপার এধরনের আচরণ করেছেন। তারা লজ্জায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি।
মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক বলেন গত ৬ মাস আগেও এক ছাত্রের সঙ্গে এধরনের অপকর্ম করেছেন। প্রতিবাদ করলে চাকুরিচ্যুত করা হবে এরকম হুমকি দেন। ভয়ে সুপারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলেন না।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রের মা বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আটক সুপার বলৎকারের বিষয় স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি।