
অবৈধ ভাবে আত্মসাৎ- সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দশ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে কেনার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে শিবগঞ্জ পুলিশ।
আজ ১১ এপ্রিল, শনিবার বিকেলে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গণকপাড়া এলাকা থেকে ১০২ বস্তা চালসহ আটক করা হয় মোস্তাফিজার রহমান নামের ওই ব্যক্তিকে।



স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১০ টাকা কেজি দরের চাল ডিলারের কাছ থেকে কালোবাজারে কিনে নিয়ে বাড়িতে মজুদ করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
এসময় ১০২ বস্তা চালসহ তাকে আটক করা হয়। মোস্তাফা জানায় তার চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম সাজু ডিলারের কাছ থেকে চালগুলো এনে বিক্রির জন্য রেখেছে। সাজু এবং ডিলারকে গ্রে’ফতারে অভিযান চলছে।



শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অ’বৈ’ধ ভাবে আ’ত্ম’সা’ৎ’কৃত ত্রান বা ১০ টাকা কেজির চাল পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চলবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোয়া’রে’ন্টিন মানেননি মালয়েশিয়া ফেরত প্রবাসী শাহআলম, শ্বশুরবাড়িতে মৃ”ত্যু
নিজের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়িতে অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন মালয়েশিয়া ফেরত শাহআলম। তাছাড়া গিয়েছেন অন্য উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়িতেও। কো’য়া’রেন্টি’ন মানেননি শাহআলম, অবশেষে মৃ”ত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হলো তাকে।



গত মঙ্গলবার রাতে ক’রো’না উপসর্গ নিয়ে মা”রা যান ৩৫ বছর বয়সী এই প্রবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানিয়েছেন, শাহ আলম ক’রো’না উপসর্গ নিয়েই মা”রা গেছেন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করো’নাভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত ছিলেন কি-না।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পূর্বভাগ ইউনিয়নের মগবুলপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে শাহআলম। গেল ১৮ মার্চ দেশে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে তাকে কো’য়ারে’ন্টিনে নেয়া হলে সেখান থেকে চলে আসেন বাড়িতে। বাড়িতে এসেও ছিলেন না কোয়া’রে’ন্টিনে।



ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জানান, শাহআলম আসার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ছিল। মাঝে-মধ্যে নিজের বাপের বাড়িতে আসা যাওয়া করেছে কি-না জানি না। আমাদের কাছে তালিকা আসার পর আমরা অনুসন্ধান করে তাকে বাড়িতে পাইনি। আমার ইউনিয়নে ১৯ জন লোক প্রবাস থেকে আসে। যদিও ২৩ জনের তালিকা দেয়া হয় আমাদের কাছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে থাকে ২ জন, ১ জনের নাম ঠিকানা ভুল ছিল। শাহআলম ছাড়া প্রবাস থেকে আসা সবাই আমাদের পর্যবেক্ষণে ছিল। প্রত্যেকের বাড়িতে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কমিউনিকেশন ঠিক রাখতে পেরেছি। কিন্তু শাহআলমকেই শুধু আমরা বাড়িতে পায়নি। তার বাবাকে জিজ্ঞেস করার পর বলেছে শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে।



এরপরও আমরা ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তার বাবাকে ইনফরমেশন করেছি তার ছেলে যদি বাড়িতে আসে সে যেন ১৪ দিনের আগে বাড়ি থেকে বের না হয়। বাড়িতে আসার পরই যেন আমাদের খবর দেয়। আমাদের অনুসন্ধানের ২/১ দিন আগেই সে নিজের বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, নাসির নগরে নিজের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ির বাইরে শাহআলম সরাইলের শাহজাদাপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল বলেও তথ্য মিলেছে। যদিও এনিয়ে এখন কেউ মুখ খুলছেন না।
শাহআলমের মৃ”ত্যুর পর শ্বশুর ও তার নিজের বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, শাহআলম ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন। গত ২০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ বাড়িতে কোয়া’রে’ন্টিনে ছিলেন।



জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল অসুস্থতা বোধ করেন শাহআলম। শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর টাইফয়েড ধরা পরে তার। কিন্তু তখনও ক’রো’না ভাই’রাসের কোনও উপসর্গ প্রকাশ পায়নি। ৭ এপ্রিল রাতে তার শ্বাস’ক’ষ্ট বাড়ে। রাত ১০টার পর স্বজনরা তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ”ত ঘোষণা করেন।
পরে উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সহায়তায় গভীর রাতে হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে মগবুলপুর গ্রামে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দা’ফন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান, তাৎক্ষনিক নি”হ’তের নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।