
সততা ও মহত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত – সিএনজি চালিত অটোরিকশার সিটে ভুল করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ফেলে রেখে যান দুই যাত্রী। প্রবীণ অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নাল পাগলা (৫৮) সেই টাকা পেয়ে যাত্রীকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দিয়ে সততা ও মহত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।



এদিকে হারানো টাকা ফিরে পেয়ে ওই দুই যাত্রী খুশিতে সততার পুরস্কার হিসেবে জয়নালকে কিছু টাকা দিতে চাইলেও তিনি তা গ্রহণ করেনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ শহরে জুবলীঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জয়নাল আবেদীন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার পশ্চিম দাপুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
টাকা ফেরত পাওয়া যাত্রী গৌরীপুর পৌরসভার সেনিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মটর সাইকেল কেনার উদ্দেশে সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা গৌরীপুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক



আতাউর রহমানকে নিয়ে তিনি অটোরিকশা যোগে বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের জুবলীঘাট এলাকায় মটর সাইকেলের একটি শো-রুমে যান।
গন্তব্যে পৌঁছে অটোরিকশা চালক জয়নালকে ভাড়া দিয়ে বিদায় করে দেন তিনি। এদিকে শো রুমে মটর সাইকেলের টাকা পরিশোধের সময় টের পান সঙ্গে নিয়ে আসা ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেই। এ সময় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।
শফিকুল বলেন, কিছুক্ষণ পর অটো চালক জয়নাল মটর সাইকেলের শোরুমে এসে তাঁকে খুঁজে বের করেন এবং টাকাগুলো ফেরত দিয়ে বলেন, এ টাকাগুলো আপনারা অটোরিকশার সিটে ভুল করে ফেলে রেখে এসেছিলেন।



জয়নাল আবেদীন জানান, দুই যাত্রীকে ময়মনসিংহ শহরে জুবলীঘাট এলাকায় নামিয়ে দেয়ার পর ব্রহ্মপুত্র নদের ব্রীজের কাছে আসতেই অটোরিকশার পিছনের সিটে তিনি তাকিয়ে দেখেন টাকার বান্ডেল পড়ে রয়েছে।
অটো রিকশার দুই যাত্রী ভুল করে টাকাগুলো ফেলে রেখে গেছেন ঘটনাটি বুঝতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক চলে যান জুবলীঘাট এলাকায় যাত্রীর খোঁজে।
সেখানে সেই মটর সাইকেলের শোরুমে দুই যাত্রীকে খুঁজে পেয়ে সিটে ফেলে রাখা টাকা ফিরিয়ে দেন জয়নাল।



জয়নাল দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা চালিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তাঁর জীবদ্দশায় সততা ও নীতির প্রশ্নে কোনদিন মাথানত করেনি।
ইব্রাহিম (আঃ) ও এক ভিক্ষুকের কাহিনী…
একবার হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর নিকট এক ভিক্ষুক আসলো। তিনি ভিক্ষুককে খাবার দিলেন এবং বললেন যে, বিসমিল্লাহ বলে শুরু কর। ভিক্ষুকটি বলল, বিসমিল্লাহ বলব কেন, আমি তো আল্লাহকে বিশ্বাস করি না। ইব্রাহিম (আঃ) এ কথা শুনে ভিক্ষুকের কাছে থেকে থালা কে’ড়ে নিলেন এবং বললেন যাও, তুমি আল্লাহকে বিশ্বাস কর না তোমাকে খেতে দিব না।



ভিক্ষুক ঘরের দরজা থেকে বেরিয়েছে মাত্র আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষণাৎ ইব্রাহিম (আঃ) এর উপর ওহী নাযিল করলেন, হে ইব্রাহিম, সে আমাকে বিশ্বাস করে না সেটা তার আর আমার মধ্যকার ব্যাপার, কেন তুমি রুটি ফিরিয়ে নিলে, যাও তাকে ডেকে এনে আবার খেতে দাও। সুবাহানাল্লাহ! আল্লাহ কত দয়াশীল!
মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব কেন বলছেন ? কারণ আল্লাহ মানুষকে নিজস্ব ইচ্ছা দিয়েছেন ফলে মানুষ আল্লাহকে মানতেও পারে নাও মানতে পারে।
মানলে জান্নাত আর না মানলে জাহান্নাম। কিন্তু কাউকে জো’র করে আল্লাহকে মানানোর অধিকার আল্লাহ মানুষকে দেয়নি। তবে আল্লাহ পৃথিবীতে যে নিদর্শন রেখেছেন তাতে কেউ নাস্তিক থাকতে পারে না।
সামান্য বুদ্ধি থাকলেও যে কেউই বুঝতে পারবে পৃথিবীর এতোকিছু এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছেন ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করছেন। অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছেন।