
তিন বন্ধু মিলে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেলেন । তারা সেখানে একটি হোটেলে উঠলো এবং রুম পেয়েছেন ৭৫ তলায় । তবে হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী,রাত ১২ টার পর লিফ্ট বন্ধ থাকে! একদিন তারা ঘুরতে বের হল । কিন্তু তারা ফিরতে দেরি হয়ে গেল।



হোটেলে এসে দেখে লিফ্ট অফ! তারা চিন্তায় পড়ে গেলেন, কিভাবে ৭৫ তলায় হেঁটে উঠবে! পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা উপরে উঠতে লাগল। তাদের মধ্যে একজন গল্প আরম্ভ করল!
তার গল্প শেষ হতে হতে তারা,২৫ তলায় পৌঁছাতে সক্ষম হলো! এরপর আরেক জন গানকরা আরম্ভ করল। গান শুনতে শুনতে দেখে ৫০ তলায় এসে গেছে! এখন কি করা যায়?



তারপর তৃতীয় জন, গান, গল্প কিছুই পারেন না, তাই তার জীবনের ঘটে যাওয়া দুঃখ-কষ্ঠের কথা শুরু করলেন। তার সব ঘটনা যখন বলা শেষ হয়, তখন তারা ৭৫ তলায় গিয়ে পৌছে!
তারা যখন দরজা খুলতে গেল, দুর্ভাগ্য ক্রমে দেখা গেল, চাবিটা রিসেপশনে! তবে এখনকি আর সম্ভব! নিচে গিয়ে চাবি নিয়ে আসা? এমনি ভাবে, আমরা যখন জীবনের তিনটি ধাপ পার করে, কবরে গিয়ে পৌছবো , যখন জান্নাতের সামনে গিয়ে দেখবো চাবিতো(নামাজ) দুনিয়ায় থেকে আনতে পারিনি,



তখন কি আর দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে? তাই প্রতিদিন জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, জান্নাতের চাবিটা সাথে রাখার প্রয়োজন নয় কি? মহান রাব্বুল আল আমিন, আমাদের সবাইকে বুঝবার তৌফিক দান করুন, (আমিন)
সত্যিই কেউ আপনাকে ভালোবাসে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ভালোবাসার সম্পর্ক খুবই সুন্দর। একজন অপরজনের প্রতি আকৃষ্ট হলে ধীরে ধীরে তা প্রেমে রূপ নেয়। তবে এর জন্য বোঝা প্রয়োজন যে, অন্যজন সত্যি আপনাকে ভালোবাসে কিনা।



যে সত্যি আপনাকে ভালোবাসবে তার কিছু কিছু আচরণেই তা প্রকাশ পাবে। তবে তা বোঝার জন্যও রয়েছে দারুণ কিছু উপায়। দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
> একজন মানুষের চোখ তার ভেতরটা প্রকাশ করে। তাই কেউ যদি আপনাকে সত্যি ভালোবাসে তবে তার চোখ দেখেই সেটি বুঝতে পারবেন।
যেমন- সারাক্ষণ সে আপনার প্রতিটি কাজের প্রতি খেয়াল রাখবে, সৌন্দর্যের খুব প্রশংসা করবে ইত্যাদি। প্রতিদিনই সে আপনার বিভিন্ন বিষয়ের প্রশংসা করবে। তবে সবাই হয়তো চোখের ভাষা বুঝতে সক্ষম হয়ে উঠেন না।



> খেয়াল করবেন সেই মানুষটি আপনার পছন্দ বা অপছন্দের বিষয়ের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখছেন। যেমন- আপনি কি খেতে পছন্দ করেন তা খেয়াল রাখা। আর সেই পছন্দের খাবারটি যেখান থেকেই হোক সংগ্রহ করে আপনার সামনে হাজির করা।
অথবা আপনি যা পছন্দ না করেন, তা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। যদি এমন কিছু দেখেন, তবে বুঝেই নিন সে আপনাকে সত্যি ভালোবাসে।
> খেয়াল করে দেখুন, তার কাছ থেকে আপনার নেয়া কোনো কিছু সে আর ফেরত নিচ্ছে কিনা। যেমন- আপনি তার কাছ থেকে একটি গল্পের বই নিয়েছেন, কিন্তু সে আর বইটি ফেরত নিচ্ছেন না। এটাও কিন্তু তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি ভালোবাসার ইঙ্গিত হতে পারে।



> আবার আপনি কাছাকাছি থাকলেই আরেক জনের সঙ্গে ফ্লার্ট করে বা আরেক জনের সঙ্গে গোল গোল করে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। এগুলো কিন্তু করা হতে পারে শুধুই আপনাকে ঈর্ষান্বিত করবার জন্যে। এটাও এক প্রকার আপনার প্রতি তার দূর্বলতা প্রকাশ পাওয়া।
> সে যদি সত্যি আপনাকে ভালোবাসে তবে, আপনার সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করতে চাইবে। আপনার একটা ফোন কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব জরুরি কাজ ফেলেও আপনার কাছে পৌছে যাবে।



তাছাড়া আপনাকে সব ধরণের ঝামেলা থেকে দূরে রাখা, আপনার প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখা, আপনার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ইত্যাদি সবই তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি গভীর টান প্রকাশ পায়। আর এটাই তার আপনার প্রতি মানসিক দূর্বলতা এবং ভালোবাসা।
> তবে ভালোবাসার মানুষটি আপনার প্রতি যদি উন্মাদ নয় তো? যদি তাই হয়, তাহলে সেই মানুষটি আপনাকে যতোই ভালোবাসুক না কেন তার কাছ থেকে দূরে থাকুন।



> কারণ একজন উন্মাদ ব্যক্তি আপনার জীবনকে সম্পূর্ণ ভাবেই বিষিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। কথায় কথায় সন্দেহ করা, সারাক্ষণ আপনাকে নজরে নজরে রাখা, সব কিছুর কৈফিয়ত চাওয়া এসব উন্মাদ ব্যক্তিদের স্বভাব। এই ধরণের ব্যক্তি শুধু নিজের শারীরিক চাহিদার ব্যাপারেই বেশি খেয়াল রাখে।
তাই কেউ আপনাকে শুধু ভালোবাসে বলেই তাকে ভালোবাসতে হবে তা জরুরি নয়, যদি ব্যক্তিটি আপনার প্রতি উন্মাদ হয় তাহলে তার কাছ থেকে দূরে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে একাই থাকুন। কারণ সুখের চেয়ে শান্তিই সবার কাম্য।