
সুপারের পা ধরে কেঁদেও পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় এবারের চলমান এক দাখিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের টাকা বাকি থাকার জন্য পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র কে’ড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। টাকা বাকি থাকায় ছাত্রীর প্রবেশ পত্র কে’ড়ে নিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে মাদ্রাসা সুপার।



আর এ কারণে ওই ছাত্রীর জীবন থেকে হারিয়ে গেল মহামূল্যবান একটি বছর। এ ব্যাপারে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ভু’ক্ত’ভো’গী ছাত্রী ও তার দিন-মজুর বাবা পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি অ’ভি’যো’গ দেন। পরে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন আগামী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ভাণ্ডারিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার নদমূলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দিন-মজুর মনির কবিরাজের মেয়ে সারমিন আক্তার (পরীক্ষার রোল নং-২৯৪৪১০) এ বছরের দাখিল পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশনের ২ হাজার ৮শ’ টাকার মধ্যে পরীক্ষার্থী সারমিন ২ হাজার টাকা জমা দেয়।



বাকি টাকা পরীক্ষার ১২ দিন পর দিতে চাইলে তাকে প্রবেশ পত্র দেয়া হয়। কিন্তু নদমূলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. অলিউর রহমান পরীক্ষার ৪র্থ দিন গত রোববার আরবি ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী সারমিনের প্রবেশ পত্র কে’ড়ে নিয়ে বলেন বকেয়া টাকা দিতে পারিস নাই,
তোর আর জীবনে পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজন নেই, সোজা বাড়ি চেলে যা। ছাত্রী এ সময় সুপারের পা জড়িয়ে কান্না-কাটি করলেও সুপারের মন এত টুকু গলেনি। পরে ছাত্রী ম’র্মা’হ’ত হয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান খোকনের কাছে বিষয়টি খুলে বলে।



তিনিও পরীক্ষার্থীকে তি’র’স্কা’র ও ভ’ৎ’স’না করে বাড়ি চলে যেতে বলে। ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য মো. জিয়াউল হক সম্রাট বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসা সুপার টাকার লো’ভে এ ধরনের জ’ঘ’ন্য কাজ করায় তার বি’রু’দ্ধে উপজেলা প্রশাসনকে শা’স্তি’মূলক ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছি।
এ আর রহমানের মেয়ের বোরকা নিয়ে তসলিমার মাথাব্য’থা !
অস্কারজয়ী বলিউডের সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের মেয়ের হিজাব পরা নিয়ে আবারও বিতর্ক উঠল। এবার তারকা কন্যা খাদিজার হিজাব পরায় সমালোচনা করলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন।



গত মঙ্গলবার খাদিজার নেকাব পরা একটি ছবি নিজের টুইটারে পোস্ট করেন তসলিমা। ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি এ লেখিকা বলেন, ‘আমি এ আর রহমানের সংগীত খুবই পছন্দ করি। কিন্তু যখন তার মেয়েকে দেখি, আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
একটি সংস্কৃতিবান পরিবারের মেয়েদের কী ভাবে সহজে মগজধোলাই করা যায়, এটি দেখে আমি হতাশ হই।’ এ দিকে খাদিজাকে নিয়ে তসলিমার এমন মন্তব্যে পালটা সমালোচনা করেন অনেক নেটিজেন। তার কাছে কেউ এ আর রহমানের মেয়ের পোশাকের মতামত চায়নি বলেও কটাক্ষ করেন অনেকে।



তবে তসলিমার সমর্থনেও মুখ খোলেন অনেকে। মেয়েকে বোরখা পরানোর জন্য এ আর রহমান সমানভাবে দায়ী বলেও তাদের কেউ কেউ মন্তব্য করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এ আর রহমানের মেয়ের পোষাক নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে বলিউডে। তবে এ পরিস্থিতিতে খাদিজার পাশেই দাঁড়ায় তার পরিবার।
তারা নিজেদের রুচি ও পছন্দকে শ্রদ্ধা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানায় এবং নিজেদের অবস্থানের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেয়। এর পরেও সামাজিক মাধ্যমে নানা ভাবে আ’ক্র’ম’ণে’র শি’কা’র হন এ আর রহমান।



খাদিজাও ফেসবুকে বড় এক পোস্টে নিজের পোশাকের পক্ষে জোরালে অবস্থান তুলে ধরেন। খাদিজা লিখেন, ‘পোশাকের কারণে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখছি। অনেকেই বলেছেন, এটি আমাকে আমার বাবা-মা জোর করে পরিয়েছেন এবং এটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। এর কোনটিই সত্যি নয়।
আমি নিজের পছন্দ মতো পোশাক অবশ্যই পরতে পারি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে নিজের জন্য কিছু পছন্দ করার অধিকার আমার রয়েছে। এবং প্রত্যেক মানুষেরই তা থাকা উচিত। তাই না বুঝে বিচার করবেন না দয়া করে।’